কলকাতা: নন্দীগ্রামে আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে তাঁকে৷ নিয়ে যাওয়া হবে এসএসকেএম হাসপাতালে৷ বাঁ পায়ে চোট পেয়েছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ, এসপি, লোকাল পুলিশ কেউ ছিল না৷ জেনে বুঝে এটা করা হয়েছে৷ চার-পাঁচজন চক্রান্ত করে তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে বলে অভিযোগ৷
নন্দীগ্রাম থেকে সড়ক পথেই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে ফোনে কথা হয়েছে চিকিৎসকের সঙ্গেও৷ আজ সারা দিন নন্দীগ্রামের বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেন তিনি৷ দুপুরে হলদিয়া মনোনয়নও জমা দেন৷ তার পরেই ঘচে এই ঘটনা৷ সেই সময় কোনও পুলিশকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিল না বলেই অভিযোগ করা হয়েছে৷ আজ নন্দীগ্রামেই থাকার কথা ছিল তাঁর৷ তবে চোট লাগায় কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূল নেত্রী৷ তৃণমূলের অভিযোগ, চক্রান্ত করেই এই কাজ করা হয়েছে৷ অন্যদিকে বিরোধীরা এই ঘটনাকে নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভণ্ডামী বলে মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী৷ কমিশন ঘটনার তদন্ত করুক, বলেছেন নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যীয়৷ উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷
এদিকে, জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ধাক্কা লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ বড়সড় প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা৷ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে চার পাঁচজন কী ভাবে ঢুকে গেল? কী ভাবে তাঁকে ধাক্কা মারল? প্রশ্ন উঠছে৷ বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন৷ জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন৷
এদিকে জানা গিয়েছে, প্রথমে সম্ভবত এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে সম্ভবত আনা হবে তৃণমূল নেত্রীকে৷ প্রয়োজনে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হবে তাঁকে৷ আপাতত একটি মেডিক্যাল বোর্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ ছ’টা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে৷ অনেকেই ডিউটি শেষে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের ফের হাসপাতালে ফিরতে হচ্ছে৷ পায়ের পাশাপাশি আরও অন্যান্য জায়গাতেও চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সার্জারি বিভাগকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে৷ তাঁর পায়ে কতটা চোট লেগেছে সে সম্পর্কে অবশ্য হাসপাতালের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এদিন গাড়ির দরজা খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময়ই চার-পাঁচ জন তাঁর দরজায় ধাক্কা মারেন৷ সেই সময়ই তিনি পায়ে চোট পান৷ চোট লেগেছে ঘাড়েও৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷