কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষতিপূরণ বণ্টন নিয়ে কোনরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশন বা ত্রাণ বণ্টন নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দলের সর্বস্তরের নেতাদের ওপর থেকেই ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? যে সকলকে এড়িয়ে সরাসরি প্রশাসনের নিচুতলা থেকে তাঁকে অভিযোগ শুনে তার মীমাংসা করতে হচ্ছে? বিরোধীাদের অভিযোগ সরকারি প্রকল্পে ‘কাটমানি’র অভিযোগ কখন পিছন ছাড়েনি তৃণমূলের৷ তা সামলাতে হিমশি্ম খেতে হয়েছে নেত্রীকে৷ এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা এবং আম্ফান৷
লকডাউন পর্বের শুরু থেকেই রেশন বণ্টন নিযে দুর্নীতির নানা অভিয়োগ সামনবে এসেছে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে নানা দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিয়োগ। এদিকে রাজ্যে বিধানিসভা ভোটও ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তাই এই অবস্থায় আর কোন রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দলের ওপর থেকে নীচে সব তলার নেতারাই যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা বুঝে কি মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মাঠে নেমেছেন? কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে বলেন, আম্ফানে গৃহহারাদের বাড়ি পূননির্মানের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়েছে। কোন রকম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্যই কোন ফর্ম পূরণ করা বা কারো সুপারিশের প্রয়োজন নেই। তা স্বত্তেও যদি এসংক্রান্ত বা রেশন পাওয়া নিয়ে কোন অভিযোগ থাকে তা সরাসরি থানায় জানানোর তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, থানাগুলিকে এইসব অভিযোগ সরাসরি তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজে এইসব অভিয়োগ খতিয়ে দেখবেন। তাঁর কথায় আম্পানের ক্ষতিপূরণ বা রেশন নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি থানায় জানান। ওই টাকার জন্য কোন ফর্ম ফিলাপ করার দরকার নেই। কাউকে ধরার দরকার নেই। থানাগুলিকে বলে রাখছি, কেস টু কেস বিবেচনা করে দরকার হলে আমার কাছে পাঠাবে৷ আমি নিজে দেখে নেব৷