তমলুক: রাজ্যে মোট ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা সারাই এবং নতুন করে তৈরি করা হবে৷ যদিও তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি৷ রাজ্যের কোষাগারে কিছুটা লাগাম পড়ানোর কথা তৃতীয়বার বিজ্ঞপ্তি জারি করা বলা হয়েছে৷ রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, খরচ কমানোর প্রক্রিয়া চলবে আগামী বছর মার্চ মাস পর্যন্ত৷ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এই বিপুল পরিমাণে অর্থের উৎসব কোথায়?
পঞ্চায়েত কর্তারা জানিয়েছেন, গ্রামীণ এলাকায় প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে খরচ পড়ে গড়ে ১০ লক্ষ টাকা, গ্রামের ভিতরে কংক্রিট ঢালাই রাস্তা তৈরিতে খরচ প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ৩৫ লক্ষ টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় চওড়া রাস্তা তৈরিতে কিলোমিটার প্রতি গড়ে ৮০ লক্ষ টাকা খর হয়৷ অর্থাৎ মোট ১২০০ কিলোমিটার রাাস্তা তৈরিতে মোট খরচ ১২০০ কোটি টাকা৷ পথশ্রী অভিযানে প্রস্তাবিত রাস্তা তৈরিতে খরচ পড়়বে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা৷
নবান্নের সূত্র উল্লেখ করে বহুল প্রচারিত বাংলার দৈনিক সংবাদপত্রের দাবি, রাজ্য সরকারের প্রকল্প হলেও এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে খরচ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থই৷ রাস্তা সারাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন, ১০০ দিনের কাজ বা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করা হচ্ছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে৷ সব মিলিয়ে যে পরিমাণ অর্থের জোগান সম্ভব, তা দিয়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজ করা সম্ভব নয়৷
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৩৪ কোটি টাকা জেলা পরিষদে বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এছাড়া চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৩৩৩টি ব্লককে যে ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাও রয়েছে৷ এছাড়াও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকাও যোগ করা হবে৷ বাকি টাকা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে৷ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তারা ওই দৈনিকে জানিয়েছেন, ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৭০০-৮০০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে এর আওতায়৷ বাকি রাস্তাগুলি গ্রামীণ এলাকার, সেগুলি সারাইয়ের জন্য ‘দিদিকে বলো’ অভিযানে উঠে এসেছে৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থায় এই রাস্তা কীভাবে নির্মাণ হবে, তা নিয়ে কিছু হলেও ধন্দ রয়েছে৷