প্রসূতির অ্যাম্বুল্যান্স আটকে দিলীপ নামে মামলা! হুঁশিয়ারি মমতার!

'মানবতা'র অনন্য নজির গড়লেন দিলীপ ঘোষ৷ নজিরই বটে৷ সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে কৃষ্ণনগরে সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সেই সভার জেরে রাস্তায় আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স৷ আর তারপরই দিলীপ ঘোষের অনন্য 'মানবতা' প্রকাশ্যে আসে৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এক প্রসূতি৷ অ্যাম্বুল্যান্সের পথ আটকানোর ঘটনায় দিলীপ ঘোষের নামে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় দায়ের অভিযোগ৷ নাম না করে দিলীপকে আক্রমণ মমতার৷

কৃষ্ণনগর: 'মানবতা'র অনন্য নজির গড়লেন দিলীপ ঘোষ৷ নজিরই বটে৷ সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে কৃষ্ণনগরে সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সেই সভার জেরে রাস্তায় আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স৷ আর তারপরই দিলীপ ঘোষের অনন্য 'মানবতা' প্রকাশ্যে আসে৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এক প্রসূতি৷ অ্যাম্বুল্যান্সের পথ আটকানোর ঘটনায় দিলীপ ঘোষের নামে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় দায়ের অভিযোগ৷ নাম না করে দিলীপকে আক্রমণ মমতার৷

প্রকাশ্য সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে আম্বুলেন্স আটকানোর মতো এই অমানবিক ঘটনাকে সমর্থন করে বিরক্ত দিলীপ বলেন, ‘‘এখন দিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না৷ রাস্তায় লোক বসে রয়েছে৷ ওঁদের ডিস্টার্ব হয়ে যাবে৷ ওদিকে রাস্তা আছে, ওদিক দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যান৷’’

এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে আম্বুলেন্স চালক গাড়ি ঘুরিয়ে অন্যপথে রওনা দেন৷ যদিও তারপরেও শেষ হয়নি রাজ্য সভাপতির মন্তব্য৷ এবার তিনি আম্বুলেন্স-এর দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন, 'এ নাকি তাঁর সভা বানচাল করার পরিকল্পনা ছিল৷' যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সমর্থন করতে পারেননি বিজেপি সমর্থকদের মধ্যেও অনেকেই৷
যদিও নাদিয়ার উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশুতোষ পালের দাবি, যে সময় আম্বুলেন্সটিকে ঘোরানো হয়েছে, তখন তাতে কোনও রোগী চিলেন না৷ রোগী থাকলে জায়গা করে দিত দলের ছেলেরাই৷

এই ঘটনা বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়তেই মাঠে নামে পুলিশ৷ খোঁজ-খবর নিয়ে শুরু করে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার পুলিশ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিলীপের সভায় আটকে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এক প্রসূতি৷ ওই প্রসূতির নাম মঞ্জিরা বিবি৷ মঞ্জিরা নদিয়ার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷

জানা গিয়েছে, ওই দিন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রসূতি মঞ্জিরাকে৷ হাসপাতাল যাওয়ারক পর দিলীপের সভার কারণে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স৷ এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় দিলীপ ঘোষের নামে৷

অ্যাম্বুল্যান্সের পথ আটকে সভাপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে করে নেশার দ্রব্য থেকে বোমা পাচার করা হয় বাংলায়৷ বিজেপির সভা বানচাল করতে ফাঁকা অ্যাম্বুল্যান্সটি পাঠানো হয়েছিল৷ আজ মাধ্যমগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের নামে বাসে-ট্রামে আগুন দেওয়া যায় না৷ সভা করার নামে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে দেওয়া যায় না৷ গণতন্ত্রণে এই সব চলতে পারে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =