ব্যারাকপুর: রুটি-রুজির টানে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার তাগিদে আফগান পাড়ি দিয়েছিলেন অশোকনগর বনবনিয়া এলাকার বাসিন্দা যুবক অজয় মজুমদার। আফগানিস্তানে USA এর সেনাঘাঁটিতে রান্নাবান্না এবং খাবার পরিবেশনের কাজে কর্মরত ছিলেন অজয়। বেশ ভালই চলছিল৷ হঠাৎই যেন নীল আকাশে কালো মেঘ৷ একে একে আফগানের কবুল শহর সহ আফগানিস্তান চলে যায় তালিবানদের দখলে।
তখনও কাবুল বিমানবন্দরের আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে আটকে অজয় সহ শতাধিক প্রবাসী বাঙালি৷ বিমানবন্দরে বাইরে গুলির শব্দ-আকাশে উঠছে ফাইটার বিমান। আস্তে আস্তে অজয়ের চোখের সামনে ভাসতে শুরু করে বাবা মা সহ আত্মীয় পরিজনদের মুখগুলো। মনের ভিতর তৈরি হয় দেশে ফেরার তাড়া৷ যদিও সেনাঘাঁটিতে রান্নাবান্নার কাজ করে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয় অজয়দের।
জীবন আগে নাকি টাকা এসব চিন্তা করে অজয় সহ বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাঙালি কোম্পানির সাথে কথা বলে কাতার হয়ে দিল্লিতে ফেরে৷ সেখান থেকে সোমবার রাতে দমদম বিমানবন্দরের নিজের শহরে পা রাখলেন অজয়। ছেলের অপেক্ষায় বাবা তপন মজুমদার দমদম বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার আনন্দে মেতে উঠলেন মজুমদার পরিবার।ছেলেকে পাশে পেয়ে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন বাবা-মা৷ বলছেন, ‘‘সব ভালই ভাল মিটেছে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে৷ আর কিছু চাই না আমরা৷’’