পানশালায় দেদার ফূর্তি, মধুচক্রের আসরে টাকা পাচার এবার বিদেশে

কলকাতা: পানশালার আড়ালে মধুচক্রের কারবার৷ আর্থিক নয়ছয় ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগের তদন্তে নামল ইডি৷ সিজিও কমপ্লেক্সে এক পানশালা মালিককে তলব। পানশালার নাম করে মধুচক্র চালানো ও পাচারের অভিযোগ ওঠে পানশালা মালিক জগজিৎ সিংহ ও আজমল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেপ্তর করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। অভিযোগ, এর মাধ্যমে আর্থিক নয়ছয় ও বিদেশে টাকা পাচার

পানশালায় দেদার ফূর্তি, মধুচক্রের আসরে টাকা পাচার এবার বিদেশে

কলকাতা: পানশালার আড়ালে মধুচক্রের কারবার৷ আর্থিক নয়ছয় ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগের তদন্তে নামল ইডি৷ সিজিও কমপ্লেক্সে এক পানশালা মালিককে তলব। পানশালার নাম করে মধুচক্র চালানো ও পাচারের অভিযোগ ওঠে পানশালা মালিক জগজিৎ সিংহ ও আজমল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে।

তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেপ্তর করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। অভিযোগ, এর মাধ্যমে আর্থিক নয়ছয় ও বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। সম্প্রতি মামলার তদন্তভার নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পানশালা মালিক জগজিৎ সিংহকে। আজ সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে আরেক ব্যবসায়ী আজমল সিদ্দিকীকে৷

ভিআইপি রোডের দু’ধারে গজিয়ে ওঠা পানশালাকে সামনে রেখে দেহ ব্যবসার অভিযোগে গত ক’বছরে একাধিক পানশালায় তালা ঝুলিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট। কিন্তু তাতে আটকানো যায়নি কিছুই। পানশালার ঝাঁপ বন্ধ হলেও এলাকার বেশ কয়েকটি স্পা, বিউটি পার্লারের আড়ালে দেহ ব্যবসা রমরমিয়ে চলেছ বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরদুয়েক আগে বাগুইআটি এলাকায় পানশালা ছিল ৩৫টি। ভিন্ রাজ্য থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে তখন রোজগারের টানে ছুটে এসেছিলেন সেখানে। কিন্তু পানশালাগুলিকে কেন্দ্র করে দেহ ব্যবসা ও মাদক চক্রের রমরমা তৈরি হওয়ায় শুরু হয় পুলিশি। জনবহুল এলাকায় পানশালা চালানোর ক্ষেত্রে এনওসি দেওয়াও বন্ধ করে দেয় বিধাননগর পুলিশ। কমতে থাকে পানশালার সংখ্যা। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এখন নামজাদা হোটেল ছাড়া পানশালার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সেগুলিতে ডান্স বার চালানোর অনুমতি নেই। ফলে কাজ হারিয়েছেন ভিন্ রাজ্য থেকে আসা অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 8 =