শান্তিপুর: খবর পেয়ে পৌঁছেছিলেন বুথে৷ দেখলেন, সত্যি তো তাঁর দলের এজেন্ট আসেনি৷ কিন্তু কেন? খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, রাতভর এজেন্টের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে শাসকদল৷ ফলে প্রাণনাশের ভয়ে ছেলেকে ঘরবন্দী করে রেখেছেন মা৷ এরপরই চটজলদি অন্য এজেন্টের ব্যবস্থা করা এবং সে না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বুথে এজেন্টের কাজ সামলালেন প্রার্থী নিজেই৷
শনিবার ভোটের সকালে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল শান্তিপুর বিধানসভার ২৪০ নম্বর বুথ৷ বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তালিবানি শাসন চলছে৷ নির্বাচনের আগে সারারাত ধরে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখিয়েছে যাতে তারা ভোট দিতে না বের হয়৷ এমনকি বুথে আমাদের বিরোধীদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
জানা গিয়েছে, ২৪০ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মী তাপস দাসের বসার কথা ছিল। কিন্তু তাকে গতকাল রাতে শাসক দলের পক্ষ থেকে ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। বলা হয় বাড়ির বাইরে বেরোলে প্রানে মেরে দেব। সেই ভয়ে তাকে বাড়িতে আটকে রাখে তার পরিবারের লোকজন। সেই কারণেই 240 নম্বর বুথ দীর্ঘক্ষন বিজেপি এজেন্টহীন অবস্থায় পড়ে থাকে। অবশেষে খবর পেয়ে সেখানে প্রার্থী নিজে পৌঁছান৷ পরে সেখানে এজেন্ট হিসেবে বসানো হয় অন্য এক কর্মীকে৷
তবেব শাসকের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই মানুষ ভোটদান করবে বলে দাবি বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের৷ তিনি বলেন, ‘‘শাসক দল তাদের হার নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ তবে এই সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে মানুষ বিজেপিকে দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করবে এবং আমরা এই বিধানসভা থেকে গতবারের তুলনায় আরও বেশি ভোটে জয়লাভ করব।’’