কলকাতা: করোনা রুখতে জারি হয়েছিল লকডাউন৷ দীর্ঘ লকডাউনের পর আনলক-৪ পর্ব শুরু হলেও দেশ ও রাজ্যে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা পরিস্থিতি৷ উল্লে দৈনিক সংক্রমণে ৩৭ দিন বিশ্ব শীর্ষে ভারত৷ রাজ্যে লাগাতার দৈনিক আক্রান্ত ৩ হাজার৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও রাজ্যের সপ্তাহিক লকডাউনে আপত্তি আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র৷ তবুও সেপ্টেম্বর তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সাপ্তাহিক লকডাউন জারি রেখেছে নবান্ন৷ কিন্তু, দুর্গাপুজো ও নির্বাচনী প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে খুব সম্ববত আর রাজ্যে ‘কমপ্লিট লকডাউনে’র পথে হাঁটতে নারাজ নবান্ন৷
আনলক-৪ পর্বে নতুন করে লকডাউনের উপর শর্ত চাপিয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ রাজ্যের তরফে আগেই সেপ্টম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ৩ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল৷ আপাতত পূর্ব ঘোষণা মতো ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্য সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে৷ চলতি সপ্তাহের শেষে পর পর দু’দিন লকডাউন হচ্ছে৷ কিন্তু, এরপর কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে মোক্ষম অস্ত্র লকডাউন আর ব্যবহার নাও করতে পারে রাজ্য৷ বরং স্বাস্থ্যবিধি পালনে কড়া গাইডলাইন জারি হতে পারে৷ দূরত্ববিধির ক্ষেত্রেও বাড়তি নজরদারিও চলতে পারে৷
গত সোমবার ছিল রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন৷নবান্ন সূত্রে খবর, টানা লকডাউনের প্রভাবে রাজ্যের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে৷ তার উপর আমফানের তাণ্ডব৷ সামনে আবার দুর্গাপুজো৷ তারপর বাংলা ভোট৷ ফলে, সব দিক বিবেচনা করে উৎসব-অর্থনীতির দিকে ঝুঁকতে পারে রাজ্য৷ ইঙ্গিত মিলছে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের পরে সম্পূর্ণ লকডাউনের সম্ভাবনা খুব কম৷ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে স্বাস্থ্যবিধিতে৷ ‘কমপ্লিট লকডাউনে’র পথে না গিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে খবরে প্রকাশ৷
অন্যদিকে, দেশের পাশাপাশি বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে ৩৭দিন দিন বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত৷ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন৷ এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ পরীক্ষা হয়েছে৷ শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন৷ ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বাংলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬২০৷ রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ০২৯ জন৷