ব্যারাকপুর: বনধে প্রভাব পড়ল না ব্যারাকপুরের শিল্পাঞ্চলের মিল কারখানাতে৷ শ্রমিকদের উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো৷ শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, করোনাতে কাজ ছিল না, দীর্ঘদিন তাই বনধ পালন করলেন না শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা৷
কেন্দ্র সরকারের কৃষক বিরোধী কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে, দেশ ব্যাপী বেড়ে চলা বিদ্যুতের বিলের বিরোধিতা সহ একাধিক দাবিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে সোমবার সকাল থেকে বনধ পালিত হয় দেশ জুড়ে। সেই সঙ্গে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ও বনধ শুরু হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি ব্যারাকপুরের মিল কারখানা গুলোতে।
অন্যান্য দিনের মতো এদিন ব্যারাকপুরের যে মিলগুলি খোলা রয়েছে সেগুলিতে শ্রমিকদের উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো। যেমন রিলায়েন্স জুট মিল, জগদ্দল জুট মিল, চাপদানি জুট মিল সহ অন্যান্য মিল গুলিতেও উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। করোনা কারনে বহুদিন বন্ধ ছিল মিলগুলি৷ তাই শ্রমিকরা পুজোর আগে আর মিলের কাজ বন্ধ রাখার পক্ষপাতি ছিলেন না।
অন্যদিকে রান্নার গ্যাস, পেট্রোল , ডিজেল, বিদ্যুৎ সমেত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম -কংগ্রেস জোটের ডাকা সারা ভারত ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ল মালদা, বাঁকুড়া শহর একাধিক জেলায়৷ সোমবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি মোড়ে পিকেটিং করে বন্ধ সফল করতে নামেন জেলার বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। বনধে সামিল হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান তাঁরা।
বনধের দিনে জেলা জুড়ে বেসরকারি বাস পরিবহন কর্মীরা রাস্তায় বাস নামায়নি। যদিও সরকারি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা রাস্তায় বাস রাস্তায় দেখা গিয়েছে। সরকারি বাসের চালকরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য মাথায় হেলমেট পড়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে রাস্তায়। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা ট্রাফিক এক কর্মী জানান, সকাল থেকেই মালদা ডিপো থেকে কলকাতা ,শিলিগুড়ি সব মিলিয়ে দশটি দূরপাল্লার বাস এবং লোকাল ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি মিলে নটি বাস চলাচল করেছে।