মাঘের শীত উপেক্ষা, রুটি-রুজির টানে বাংলায় রাজস্থানের শিল্পীরা

মাঘের শীত উপেক্ষা, রুটি-রুজির টানে বাংলায় রাজস্থানের শিল্পীরা

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: সারি সারি রাখা নিপুন কারুকার্যের শ্বেত মূর্তি৷ ফুল, দেব-দেবী, পশুপাখি, ছোটবড় নানান মাপের মূর্তি৷ আর এর মূর্তির সম্ভার নিয়ে বঙ্গের মাটিতে হাজির সুদূর রাজস্থানের শিল্পীরা৷ মাঘের তীব্র শীত উপেক্ষা করেই রুজি-রুটির টানে ভিন রাজ্য থেকে শিল্পের সম্ভার নিয়ে শিল্পীরা হাজির দক্ষিণ দিনাজপুরে৷ সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষের সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে শিল্প ও ভাস্কর্য। অতীত কাল থেকেই শিল্পীরা তাদের রুজি রোজগারের টানে শিল্প ভাস্কর্যের সম্ভার বিক্রয়ের উদ্দেশে ছুটে গেছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। আর এখন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি৷ প্লাস্টার অব প্যারিসের তৈরি চমত্কার এই মূর্তি নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন শিল্পীরা৷

বর্তমানে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বাজারে শিল্প ভাস্কর্যের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্যিক সফলতার কারণেই প্রত্যেক বছরই ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের শিল্প ভাস্কর্যের সম্ভার নিয়ে শিল্পীরা এরাজ্যে ছুটে আসে। এবারও তার অন্যথা হয়নি৷ সূদুর যোধপুর থেকে বাংলা ব্যবসার আশায় এসেছেন ভাস্করেরা৷ 

রাজস্থান থেকে আগত শিল্পী জানান ,” খোলা মাঠে এখনকার তীব্র শীতে পরিবার নিয়ে এসে খানিকটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তৈরি করা শিল্পসম্ভার বিক্রির পড়েই অন্যত্র যেতে পারবো।” ছোট-বড় নানান মাপের নানান ডিজাইনের সেইসব শিল্পভাস্কর্য বিক্রি হচ্ছে গঙ্গারামপুর শহর থেকে শুরু করে শহরের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায়। জানা যায় ছাঁচে তৈরি প্লাস্টার অফ প্যারিসের এসব আকর্ষণীয় শিল্পভাস্কর্য বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে। রুটি রুজির আসায় তারা বারবার ছুটে আসে বাংলায়৷ এখন দেখার কোভিড পরিস্থিতিতে এবার তাদের বিক্রিবাট্টা কেমন হয়৷ -ফাইল ছবি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − six =