তমলুক: কন্যাশ্রী প্রকল্পের এককালীন অনুদান ২৫ হাজার টাকা ও হাতের কাজ শিখে উপার্জিত অর্থসহ নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন বাংলাদেশের ৩ কিশোরী৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ি হোম থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে গেলেন ৩ কন্যা৷
জানা গিয়েছে, শাপলা শিকদার-সহ ৩ কন্যাকে নিজের ঘরে পৌঁছে দেয় পুলিশের কনভয়৷ পেট্রাপোলের সীমান্ত হয়ে তাঁদের বাংলাদেশের প্রশানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় চার-ছয় বছর ধরে তমলুক ও নন্দকুমারে হোমে ছিল ৩ কিশোরী৷ হোমের আবাসিক থাকার সময় হাতের কাজ শিখে ৩ কন্যা ১১হাজার টাকা রোজগার করে৷ একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা-সহ তাঁদের বাংলাদেশ প্রশানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশি মুদ্রায় সেই অর্থ পরিবর্তন করে ৩ কন্যার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, তমলুকের নিমতৌড়ির হোমে ২০বছর বয়সি শাপলা শিকদার ছিলেন ২০১৪সাল থেকে৷ হোমে ১৫ বছরের নীলা খাতুন নামে ও আরও এক বাংলাদেশি কিশোরী ২০১৬সাল ছিল৷ ১৭ বছর বয়সি চুমকি খাতুন ২০১৬সাল ওই হোমে দিন কটিয়েছিল এতদিন৷ পুলিশ তাদের বিভিন্ন সময় উদ্ধার করেছে হোমে রাখে৷ পরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়৷ এরাজ্যের ৩০জন বাংলাদেশি কিশোরী ও যুবতীকে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, হোমে থাকাকালীন আবাসিকদের জন্য স্পেশাল স্কুলে পড়াশোনা করানো হয়েছে৷ হোমের স্পেশাল স্কুলে পঠনপাঠনের পর ১৮বছর বয়স সম্পূর্ণ হতেই শাপলা কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫হাজার টাকা পেয়েছে৷ তাঁকে দেওয়া হয়েছে কন্যাশ্রীর নগদ টাকা৷ হাতের কাজ শিখেছে চুমকি৷ এতদিনে তাঁর আয় আট হাজার টাকা৷ নীলা ১ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছে৷