গঙ্গাসাগর: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ এরই মধ্যেই ২০২২ এর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। চলছে শেষ বেলার প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে এসে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নামখানায় একটি প্রশাসনিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে চরম ব্যস্ততায় এখন গঙ্গাসাগরের। এবার মেলার প্রস্তুতি হিসেবে করোনার টিকার উপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। মেলার আগে সাগর দ্বীপের বাসিন্দাদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন। সাগরের বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিটি টিকাকরণ শিবিরে সরোজমিনে তদারকি করছেন সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। প্রশাসনের নির্দেশ মতো সাগর মেলার আগে যত দ্রুত সম্ভব সাগরের প্রতি বুথের বাসিন্দাদের টিকাকরণ শেষ করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে সাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, শ্রমিক, ট্রাক চালক, বিভিন্ন বিক্রেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সাগর ব্লকের প্রায় ১ লক্ষ্য ৮০ হাজারের কাছাকাছি মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সাগর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ব্লকের মোট বাসিন্দা ২ লক্ষের সামান্য বেশি। মাত্র ২০ হাজারের একটু বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে। প্রতিদিন টিকার যোগান অনুযায়ী ব্লক পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক বুথে শিবির করে টিকাকরণ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই ১০০ শতাংশ টিকাকরণ শেষ করতে চাইছে জেলা প্রশাসন। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১৬ তারিখে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সাগর পূণ্যভূমিতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থী আসে সাগর মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় সরাসরি যুক্তদের টিকাকরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সাগর ব্লকের বাসিন্দাদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন। ২০২১ সালে আদালতের নির্দেশে করোনাবিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। খুব অল্প সংখ্যক পুণ্যার্থী এসেছিল গঙ্গাসাগরে।
এবছরও সাগর মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি উচ্চস্তরের বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। সেই বৈঠক থেকে মেলার আগে সব সাগরবাসীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ দেবাশিস রায় বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার আগের সাগরদ্বীপের মানুষদের ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। স্বাস্থ্যকর্মীরা যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণের কাজ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।