খেজুরি: টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দশ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্থা চালানোর অভিযোগ উঠল এক বিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিশু কন্যার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় খেজুরি থানার রামচক এলাকায়।
খেজুরি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম গোপাল মণ্ডল। সোমবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত গোপালের বিরুদ্ধে খেজুরি থানার পুলিশ ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয় খেজুরি বাম গণতান্ত্রিক মহিলা সংগঠনের সদস্যরা। আগেই নির্যাতিতা শিশুকন্যার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেছিল কাঁথি মহকুমা আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, খেজুরি বারাতলা এলাকায় ১০ ও ৮ বছর বয়সী দুই শিশুকন্যা মামার বাড়ি রামচকে থেকে পড়াশোনা করতো। গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুই বোন সাইকেলে করে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। তখন ওই যুবক দুই শিশু কন্যাকে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের ফাঁকা জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর ৮ বছরের শিশুকন্যা সুযোগ বুঝে সেখান থেকে চম্পট দেয়। অভিযোগ, এরপর ১০ বছরের শিশু কন্যাকে ২০ টাকা দিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত গোপাল৷ কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। প্রথমে ওই শিশুকন্যা বাড়িতে কিছু না জানালেও পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যদের সব কথা জানায়। শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয় এলাকার বুদ্ধিজীবীরা। খেজুরি বাম গণতান্ত্রিক মহিলা সংগঠনের সদস্যরা নির্যাতিতা শিশু কন্যার বাড়িতে হাজির হন। অভিযুক্ত গ্রেপ্তারের দাবিতে খেজুরি থানা পুলিশের কাছে দাবি জানায় বাম গণতান্ত্রিক মহিলা সংগঠনের সদস্যরা। ১২ নভেম্বর নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাবা খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে৷ এরপরই অভিযুক্ত যুবক এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, খেজুরি থানার পুলিশ হুগলি ডানকুনি এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।