কলকাতা: দীর্ঘ দিন ধরে থমকে রয়েছে প্রশিক্ষিত প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ৷ এই নিয়ে সরকারের মুখাপেক্ষী হয়েও মেলেনি সমাধান৷ সরকারি দরবার থেকে খালি হাতে ফেরার পর সমস্যা সমাধানে এবার বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের শরণাপন্ন হলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ শুনে বেশ কয়েকজন বিরোধী জনপ্রতিনিধি এগিয়ে এলেও গুরুত্বদেন বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ৷
অভিযোগ, প্রথমিকে টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মেলেনি নিয়োগ৷ দ্রুত নিয়োগের দাবিতে করোনা ও লকডাউন আবহে বাড়ি থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর ওয়ালে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরলেও হয়নি সমস্যার সমাধান৷ সরকারি স্তর থেকে খালি হাতে ফেরার পর এবার বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের শরণাপন্ন হলেন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
আড চাকরিপ্রার্থীদের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ- সহ ২০ জন বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
শুক্রবার প্রশিক্ষিত প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী মৌটুসি, বিশ্বাস ও গোলাম আহমেদ-সহ প্রায় শ’পাঁচাকে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী ‘আমাদের বাঁচান!’ নামের একটি ক্যাপশনে সমস্ত বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের কাছে WhatsApp বার্তা পাঠানো হয়৷ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও সৌমিত্র খাঁ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন৷ সুজন বাবু জানিয়েছেন, খুব দ্রুত তিনি রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলবেন৷ অধীর চৌধূরীও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন৷ তবে, মন্ত্রি বাবুল সুপ্রিয়, জয়ন্ত রায়, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অভিযোগের গুরুত্ব দেননি৷
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৪ এর প্রাথমিক টেটে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে৷ টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পরও টেট পাসের কোনও সার্টিফিকেট দেওয়ার হয়নি৷ যা NCTE – নিয়মেরও পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷ পরে সার্টিফিকেট আদায় করতে বহু প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন৷ সেই মামলা এখনও নিস্পত্তি হয়নি৷ অভিযোগ, পরবর্তীকালে ২০১৪-২০১৬ ব্যাচ ও RCI স্বীকৃত ২০১৫-২০১৭ ডিএড ব্যাচকে নিয়োগ পর্বের আওতায় আনা হলেও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অধীনস্থ ২০১৫-২০১৭ ব্যাচকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে সবর হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷