ঝাড়গ্রাম: অমিত শাহের সভার আগে চরম উত্তেজনা ঝাড়গ্রামে৷ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ৷ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সভায় যেতে বাধা দিচ্ছে বলে উঠল দাবি৷ বিজেপি’র বাস-গাড়ি আটকানোর অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির৷ প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা৷
আরও পড়ুন- শোভন-বৈশাখীর পদত্যাগে নয়া জল্পনা রাজনৈতিক মহলে, কী বললেন সৌগত-দিলীপ?
সোমবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রামে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়৷ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, আজ সকালে বিভিন্ন জেলা থেকে ঝাড়গ্রামে আসা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাসে বাধা দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় পুলিশ৷ অভিযোগ, সে কারণেই সঠিক সময়ে সার্কাস ময়দানে এসে উপস্থিত হতে পারেননি বিজেপি’র কর্মী সমর্থকরা৷ এমনকী যাঁরা এসে পৌঁছতে পেরেছেন, তাঁদেরও ভিতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ৷ কিন্তু কেন তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও দৃঢ় কারণ দেখাতে পারেনি তারা৷ বিজেপি’র এক কর্মী সমর্থক বলেন, সভায় ঢোকার মুখে চেকিং করা হচ্ছে, ভয় দেখিয়ে আটকানো হচ্ছে৷ কাউকে ছাড়া হচ্ছে না৷ তাঁদের কথায়, ঢুকতে দেওয়া না হলে জোড় করে ঢুকব৷ অভিযোগ, এই সভা পন্ড করার জন্যই বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ আরও এক বিজেপি কর্মী বলেন, আমরাও বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি৷ এর জন্য যতদূর যেতে হয় যাব৷ বাধা দিয়ে আটকাতে পারবে না৷ সভামঞ্চের বাইরে প্রচুর মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়৷ অন্যদিকে, সকলকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে বারবার ঘোষণা চলতে থাকে৷
আরও পড়ুন- ‘TMC নেতা BJP-র প্রার্থী মানছি না’! আরও প্রকট বিজেপির গৃহযুদ্ধ
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে ফের বাংলায় এসেছেন অমিত শাহ৷ গতকাল খড়গপুরে সেরেছেন রোড শো৷ আজ আসছেন জঙ্গলমহলে৷ সোমবার সকালে ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানে জনসভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর জনসভায় উপস্থিত থাকবেন ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, বিনপুর, গোপীবল্লভপুর-এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা৷ এরপর বাঁকুড়ার পথে রওনা দেবেন শাহ৷ বাঁকুড়ার রানিবাঁধ বিধানসভার খাতরায় দুপুর ১টায় ফের জনসভা করবেন তিনি৷ সেখানে তাঁর মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন রানিবাঁধের বিজেপি প্রার্থী ক্ষুদিরাম টুডু৷ উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য বিজেপি নেতারাও৷ বাঁকুড়ায় সভা শেষ করেই তিনি রওনা দেবেন অসমের উদ্দেশে৷