ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

53eaa66749b7702f270e48207710beef

কলকাতা:  ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে ধুন্ধুমার ভবানীপুরে৷ সোমবার প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ তিনি ভবানীপুরে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা৷ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ রীতিমতো হামলা চালিয়ে এক বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেয় তৃণমূল সমর্থকরা৷ বন্দুক উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের দেহ রক্ষীদের৷ অন্যদিকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী ভাবনারায়ণ সিংহ৷ তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর, শ্রীঘরে অভিযুক্ত

এদিন ভবানীপুরে যদুবাজারে দেবেন্দ্রনাথ রোডে দিলীপ ঘোষের প্রচার চলার সময় উত্তেজনা ছড়ায়৷ সেখানেই হামলার ঘটনাটি ঘটে৷ এদিন দিলীপ ঘোষ ঘুড়ে ঘুড়ে রিফ্লেট বিলি করছিলেন৷ সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রচার অটো সেখান দিয়ে যাচ্ছিল৷ সেই অটো থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল৷ চলছিল বিজেপি বিরোধী স্লোগানও৷ সেখানে আবার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছিল করোনার টিকাকরণ৷ দিলীপ ঘোষ ওই টিকা কেন্দ্রে ঢোকেন৷ এর পরেই তৃণমূল কর্মীকে সেখান থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনেন৷  তাঁকে নিগ্রহ করা হয়৷ রীতিমতো দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়৷  বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যখন এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন ওঠে জয় বাংলা স্লোগান৷ পাল্টা জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলে বিজেপি৷ এরপর দিলীপ ঘোষ কিছুটা এগিয়ে গেলে বিজেপি সমর্থক ভাবনারায়ণ সিংহকে ধরে ফেলেন তৃণমূল সমর্থকরা৷ তাঁকে বেধড়র মারধর করে মাথা ও মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়৷ পরে তাঁরা হেঁটে আশুতোষ মুখার্জী রোডে আসেন৷ সেখানেই দাঁড়িয়েছিল দিলীপ ঘোষের গাড়ি৷ সেখান থেকে আহত কর্মীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷  

 
দিলীপ ঘোষ বলেন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বেরিয়েছি, সেখানেও সুরক্ষা নেই৷ আমাদের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে৷ আমাকে লাথি, গুঁতো মারা হয়েছে৷ কী ভাবে হবে নির্বাচন? কোথায় গণতন্ত্র? নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানান দিলীপ বাবু৷ তাঁর কথায়, সবটাই আমরা জানাব৷ কিন্তু মানুষ এভাবে ভোট দেবে কী করে? অন্যদিকে, এক বিজেপি কর্মী বলেন, ভোটের প্রচারই যদি করতে না পারি, তাহলে ভোটে লোক বেরবে কী করে? ভোটার না বেরলে আমরা ভোট পাব কী করে? এ ভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না৷ এভাবে প্রচার আটকানো যায় না? এটা গণতান্ত্রিক অধিকার৷ সেই অধিকার কেড়ে নিচে চাইছে৷ তৃণমূল হারছে, এটা স্পষ্ট৷   

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *