কলকাতা: রাজ্যের চার হেভিওয়েট মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ সোমবার নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ধুন্ধুমার কাণ্ড আখিরে পালে হাওয়া পেল সিবিআই৷ আজ হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানিতে বারবার উঠে এল সেই প্রসঙ্গ৷ এমনকী তদন্তকারীদের উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোও উঠল আদালতে৷
আরও পড়ুন- নারদ মামলার তথ্য লুকিয়ে গিয়েছেন মুকুল! বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের
এদিন সিবিআই পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, তদন্তের স্বার্থেই সিবিআই মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে ধরনা দেন৷ ‘আমাকে গ্রেফতার করুন’ বলে সিবিআই অফিসারদের চাপ দেন৷ শুধু তাই নয়, নিজাম প্যালেসের বাইরে যে ভাবে জমায়েত হয়েছে, তাতে নিরাপত্তাহীন বোধ করছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ ফলে এ রাজ্যে নারদ মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ নেই বলেই যুক্তি দেয় সিবিআই পক্ষের আইনজীবী৷
তুষার মেহতার কথায়, যেভাবে নিজাম প্যালেসের সামনে জমায়েত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে ধরনা দিয়েছেন, তাতে এ রাজ্যে নারদ মামলা সুরক্ষিত নয়৷ তিনি বলেন, সিবিআই একটি দায়িত্বপূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা। তাদের কাজে যে ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে তাতে তদন্তকারী আধিকারিকরা এরাজ্যে সুরক্ষিত নয়। তাই আমরা চাইছি এরাজ্যে বাইরে মামলা নিয়ে যেতে৷
সিবিআই যে সোমবারের পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিল ওয়াকিবহাল মহল৷ আর এদিন তেমনটাই হল৷ অনেকেই মনে করেছিলেন, নিজাম প্যালেসের বাইরে যত বেশি গন্ডোগোল হবে, উত্তেজনা বাড়বে, তত বড় যুক্তি তৈরি হবে সিবিআই-এর কাছে৷ তারা আদালতকে বলতে পারবে বাইরে এতখানি অশান্তি ছিল যে, চার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা যায়নি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে৷ এদিন ঠিক তেমনটাই ঘটল৷ আর এই অস্ত্রেই তৃণমূলকে ঘায়েল করার চেষ্টা করল সিবিআই৷