গয়েশপুর: পঞ্চম দফার ভোটে উত্তপ্ত গয়েশপুর৷ ভোট চলাকালীন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠল গোটা এলাকা৷ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে গয়েশপুরে তুমুল বিক্ষোভের পর হামলা চালানো হল পার্থ ওরফে পিন্টু হাজরা নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে৷ যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হল তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর৷ চার-পাঁচ জন মিলে লাথি মেরে ভেঙে ফেলা হল ঘরের দরজা৷ অকথ্যা গালিগালিজ করা হল বৃদ্ধ বাবা-মাকে৷ ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখল গোটা বাংলা৷
আরও পড়ুন- হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাগান থেকে উদ্ধার বিজেপি কর্মী, অশান্ত শান্তিপুর
এদিন মূলত পিন্টুকে খুঁজতেই এসেছিল তৃণমূলের কর্মীরা৷ কিন্তু তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাড়ির উপরেই হামলা চালানো হয়৷ লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয় ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি৷ বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা৷ বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির অ্যাসবেস্টার৷ বাড়ির ভিতরে ঢুকে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মাকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনার চেষ্টা করা হয়৷ আঘাত পান পিন্টুর মা৷ পা কেটে গলগল করে রক্ত বেরতে থাকে৷ তাতেও থামেনি তৃণমূলের তাণ্ডব৷ তৃণমূলের অভিযোগ, পিন্টু হাজরার নেতৃত্বেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁর বাবা-মা৷
পিন্টু হাজরারা মা বলেন, আমার ছেলে বিজেপি করে বলে এই হামলা৷ কেন মারা হল আমরা জানি না৷ এক মহিলার অভিযোগ, পিন্টু তাঁর ছেলেকে মেরেছে৷ তাঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে৷ অন্যদিকে পিন্টু বলেন, ‘‘আমাকে খুঁজতে এসেছিল৷ আমি বুথ সভাপতি৷ আমাকে বাবা মা ঘরে আটকে দেয়৷ দু’দিন আগে তৃণমূলের জন্য আমার চাকরি চলে গিয়েছে৷ আজ সব শেষ করে দিয়ে গেল৷ সে কারণেই আমি বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলাম৷ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে৷’’ এদিকে এই ঘটনায় ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছে পার্থ হাজারার বাবা মা৷ রাতে কী হবে সেটা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না তাঁরা৷ পিন্টু এক বছরের একটি ছোট বাচ্চাও রয়েছে৷ তাকে ও তার মাকে আগেই অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷