জলকামানে নীল রাসায়নিক কেন? এটাই বাংলার গণতন্ত্র? তোপ তেজস্বীর, অস্বীকার রাজ্যের

জলকামানে নীল রাসায়নিক কেন? এটাই বাংলার গণতন্ত্র? তোপ তেজস্বীর, অস্বীকার রাজ্যের

 

কলকাতা: রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মী নিয়োগ-সহ গণতন্ত্রণ রক্ষার দাবিতে আজ নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি৷ সেই প্রেক্ষিতে শহরে এসেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য৷ গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করলেন৷ বিজেপির নবান্ন অভিযোগের মিছিলে পুলিশ কেন নীল রঙের রাসায়নিক ছুড়ল? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি৷ পাল্টা তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করেন৷ প্রথমেই তিনি বললেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে আটকানো হচ্ছে, ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। এভাবে কি গণতান্ত্রিক রাজ্যে শাসন চলে? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, বিজেপির অভিযান আটকানোর জন্য জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে নীল রঙের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে! এই নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷

তেজস্বীর কথায়, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, কোথাও জলকামান ব্যবহার করা হলে হয় ঠান্ডা জল বা গরম জল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাংলায় জলকামানের জল নীল! তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীদের ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গায়ে সেই জল লেগেছে, তারপরে তাদের জামাকাপড়ে নীল রং হয়ে গেছে। কেন বাংলায় রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন তিনি। এমনকি, এটা কি ধরনের রাসায়নিক তা জানার পক্ষেও আওয়াজ তোলেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র একেবারেই নেই। সাধারণ প্রতিবাদ করলেও তাদের মারধর করা হচ্ছে, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপির নবান্ন অভিযান হবে বলে হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে কর্মী সমর্থকরা তাদের প্রতিবাদে সামিল না হতে পারেন। এইভাবে কোনো গণতান্ত্রিক রাজ্য চলতে পারে না বলে দাবি তেজস্বীর।

এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে তুলনা করতে গিয়ে সরাসরি অভিষেককে গুন্ডা বলেছেন তিনি! তেজস্বী জানান, বাংলা বলিদানের রাজ্য, স্বামী বিবেকানন্দের রাজ্য, সেখানে এখন অভিষেকের মতো গুন্ডার বাস! বাংলার মানুষ এই সরকারকে আর বেশিদিন বরদাস্ত করবে না বলে দাবি করেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, বিজেপির প্রতিবাদ জারি থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আটকাতে পারবে না। প্রথমেই তিনি বললেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে আটকানো হচ্ছে, ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। এভাবে কি গণতান্ত্রিক রাজ্যে শাসন চলে? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, বিজেপির অভিযান আটকানোর জন্য জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে নীল রঙের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে! এই নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷

তেজস্বীর কথায়, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, কোথাও জলকামান ব্যবহার করা হলে হয় ঠান্ডা জল বা গরম জল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাংলায় জলকামানের জল নীল! তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীদের ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গায়ে সেই জল লেগেছে, তারপরে তাদের জামাকাপড়ে নীল রং হয়ে গেছে। কেন বাংলায় রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন তিনি। এমনকি, এটা কি ধরনের রাসায়নিক তা জানার পক্ষেও আওয়াজ তোলেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র একেবারেই নেই। সাধারণ প্রতিবাদ করলেও তাদের মারধর করা হচ্ছে, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপির নবান্ন অভিযান হবে বলে হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, জাতি কর্মী সমর্থকরা তাদের প্রতিবাদে সামিল না হতে পারেন। এইভাবে কোনো গণতান্ত্রিক রাজ্য চলতে পারে না বলে দাবি তেজস্বীর। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে তুলনা করতে গিয়ে সরাসরি অভিষেককে গুন্ডা বলেছেন তিনি! তেজস্বী জানান, বাংলা বলিদানের রাজ্য, স্বামী বিবেকানন্দের রাজ্য, সেখানে এখন অভিষেকের মতো গুন্ডার বাস! বাংলার মানুষ এই সরকারকে আর বেশিদিন বরদাস্ত করবে না বলে দাবি করেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, বিজেপির প্রতিবাদ জারি থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আটকাতে পারবে না৷

বিজেপির তরফে তোলা গুরুতর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ৷ হাওড়া পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপির কর্মীদের উপর কোনও ক্ষতিকারক ‘কেমিক্যাল’ ছড়ানো হয়নি৷ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিজেপি কর্মীদের চিহ্নিত করতে এই রঙিন জল ছোড়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের৷ যদিও, এর আগে একাধিক আন্দোলন রুখতে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এহেন রঙিন জল আগে কখনও ব্যবহার করা হয়নি৷ গোটা দেশেও এমন কোনও নজির নেই৷  আজ ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করতে নীল রঙের জল ছোড়া হয়েছে৷ কোনও রাসায়নিক নয়৷ সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে থাকায়, তাঁদের উপরও রঙিন জল ছিটকে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − three =