সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সরগরম শহর

সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সরগরম শহর

20fe8385ae854f63b680459025f347a6

কলকাতা: বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন শুরু হলেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যাঁরা সরকারি বিদ্যালয়ে যাঁরা এনএসকিউএফ বৃত্তিমূলক বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন তাঁদের স্কুল খোলার দিন থেকেই ছাঁটাই করছে রাজ্য সরকার। এই ইস্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মতলা এসবিএসটিসি বাস স্ট্যান্ডে বেশ কয়েক জন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যন্টরা বসে ও শুয়ে বিক্ষোভ দেখায়, যে ঘটনা নিয়ে আবার অস্বস্তিতে রাজ্য।

মূলত এই ধরনের শিক্ষকরা সিলেবাসে থাকা বৃত্তিমূলক বিষয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অনলাইনের যাবতীয় কাজ করে থাকেন, যেমন: শিক্ষাশ্রী,কন্যাশ্রী,বাংলার শিক্ষা ই-পোর্টালের কাজ, পেনশনের কাজ ইত্যাদি। লকডাউনে অনলাইন ক্লাস পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন সরকারের নির্দেশ অনুসারে। এই শিক্ষকেরা ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষকতা করলেও কোনো স্বীকৃতি রাজ্য সরকার দেয়নি বলে অভিযোগ। ছাত্র-ছাত্রীরা দুই বছর ধরে বই না পেয়েও অনিশ্চিতভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে। রাজ্যের প্রায় দু হাজার এনএসকিউএফ শিক্ষক ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যন্ট এই বৃত্তিমূলক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। বারংবার তাঁরা রাস্তায় নেমে নিজেদের দাবী আদায় করতে গিয়ে পুলিশের অমানবিক ব্যবহার দেখেছেন।  আজ প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা দাবী জানাতে থাকে, অবিলম্বে তাঁদের বেসরকারীকরণ মুক্ত করে সরাসরি সরকারিভাবে তাঁদের কাজে আবার পুনর্বহাল করতে হবে এবং ৬০ বছরের কাজের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

এই ইস্যুতে এনএসকিউএফ শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বলেন, “আমরা মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম ডবল ডবল শিক্ষক নিয়োগ থেকে সরকারি ক্ষেত্রকে বেসরকারীকরণ মুক্ত করা, কিন্তু ভোটের পরেই মানবিক সরকার অমানবিক রূপ দেখাচ্ছেন সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাঁটাই থেকে বিদ্যালয় গুলিকে বেসরকারী সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন, এতে হাতে কলমে শিক্ষার সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যত”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *