ইংরেজি পড়াতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, উঠে এল সমীক্ষার রিপোর্ট

ইংরেজি শিক্ষার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে খোদ শিক্ষকদের। 

 

কলকাতা: ইংরেজি ভাষা নিয়ে সকলের মধ্যেই একটা আগ্রহ রয়েছে। অন্যান্য ভাষার তুলনায় এই ভাষার গ্রহণযোগ্যতা এবং এই ভাষার প্রতি আগ্রহ সবারই বেশি। এই কারণেই অভিভাবকরা চান তাদের সন্তানরা যেন এই ভাষায় আরও দক্ষ হয়ে উঠুক। কিন্তু ইংরেজি শিক্ষা দেবেন যারা সেই সব শিক্ষকদের পাণ্ডিত্য কতটা, তা নিয়ে একটা সংশয় রয়ে গিয়েছে বাংলায়। এবার প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কলকাতায় সরকারের অধীনে থাকা প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ইংরেজি শিক্ষার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে খোদ শিক্ষকদের। 

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের অধীনে থাকা স্কুলগুলির পরিকাঠামো একেবারে অনুন্নত না হলেও তার উন্নয়ন প্রয়োজন। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের বেশি সময় ধরে স্কুলে রাখতে হবে একইসঙ্গে অভিভাবকদের আরও সচেতন করে তুলতে হবে। ইংরেজি ভাষার ওপর দখল হোক সন্তানদের এইরকম চাহিদা এখন বেশিরভাগ অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে। তারা চান তাদের সন্তানরা যথাযথ ইংরেজি শিক্ষা নিতে পারো এবং ঝরঝরে ইংলিশ বলতে পারুক। এই প্রেক্ষিতে ইংরেজি শেখানোর জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষণ দরকার শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের কারণ এই ভাষায় তাদেরও সম্পূর্ণ দখল নেই বলে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সমস্ত স্কুলগুলিতে মূলত যে পরিবার থেকে আশা শিশুরা পড়াশোনা করেন তাদের বেশিরভাগ সময় স্কুলে রাখলেই অভিভাবকদের সুবিধা। কারণ তারা হয়তো দিনমজুরের কাজ করেন নয়তো রিকশাচালক নয় তারা বাজারে সবজি বেচেন। তাই তাদের সন্তানরা যখন স্কুলে আসছেন তাদের খেলাধুলা বা সৃজনমূলক কাজে অন্তর্ভুক্ত করে আরও উৎসাহ দেওয়ার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের নির্বাচনের কাজে লাগানোর জন্য স্কুলের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে উল্লেখ করা হয় এই রিপোর্টে।

কলকাতা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অধীন ৫৯টি, কলকাতা পুরসভার অধীন ১৬টি স্কুল এবং পাঁচটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সমীক্ষকেরা মোট ৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ৩১৮ জন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে এই রিপোর্টে, সেটি হল স্কুলের পরিকাঠামো। জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে থাকা স্কুল গুলির মধ্যে ৪১ শতাংশ স্কুলের ক্লাসরুমের অবস্থা ভালো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। পাশাপাশি অনেক স্কুলের শৌচাগারের অবস্থা একেবারে ভালো নয়। এই কারণেও অনেক অভিভাবক নিজেদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না আবার অনেক পড়ুয়া স্কুলের বেশিক্ষণ থাকতে চায় না। এই সব সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে পানীয় জল এবং আসবাবপত্রের ঘাটতির সমস্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 2 =