Aajbikel

ধর্মঘটকে সমর্থক করে হামলার শিকার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, প্রতিবাদে সোচ্চার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

 | 
শিক্ষক

কলকাতা: গত ১০ মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ধর্মঘটে সামিল হন৷ তাঁরা ওই দিন স্কুলে যাননি। আজ তাঁরা স্কুলে ঢুকতে গেলে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বাধা দেন, গেটে তালা ঝুলিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন৷ কোথাও প্রধান শিক্ষক এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে শোকজ করেছেন, ডাইস নন লিখে দিয়েছেন। কোথাও আবার প্রাথমিক শিক্ষকদের এসআই শোকজ লেটার ধরিয়েছেন। এভাবে হেনস্থা সহ্য করেই স্কুলের গেটের বাইরে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। একাধিক স্কুলে এমনই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে  তীব্র ধিক্কার জানানো হয়। তাঁদের দাবি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করার অধিকার সবার রয়েছে। 

আরও পড়ুন- শান্তনুই ছিলেন কুন্তলের ‘মেন্টর’! আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র


এই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সরকারের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, এই নোটিশ বেআইনি। আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণ করা হবে৷ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব এবং শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর কথায়, ‘‘আমরা সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরে আন্দোলন করছি, কিন্তু, যারা এলাকায় এলাকায় হামলা চালাল তাঁদের কি সরকারের প্রতি আস্থা নেই? সরকারি নোটিশের মাধ্যমেই সার্ভিস ব্রেক, বেতন কেটে নেওয়া, ডাইস নন ইত্যাদি কথা উল্লেখ রয়েছে। সরকারি নিয়মে যদি তা করা যায় করুক। সেই সরকারি নোটিসের প্রতি আস্থা না রেখে হামলা চালানো হল কেন?’’ প্রশ্ন তুলেছে মঞ্চ৷ যাঁরা আক্রান্ত অথবা হামলার শিকার হচ্ছেন তাঁদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে সর্বতোভাবে আইনি সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এই আক্রমণের ঘটনা শিক্ষক কর্মচারীদের আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তুলবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভয় দেখিয়ে এই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের৷

Around The Web

Trending News

You May like