কলকাতা: বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে চলছে স্নাতকস্তরে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া৷ এবারও তার ব্যথিক্রয় হয়নি৷ করোনা-কালে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে৷ যদিও অনলাইনে ভর্তির ঝনঝাট এড়াতে অধিকাংশ কলেজ আউটসোর্স করে থাকে৷ অর্থাৎ বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দিয়ে মূলত এই ভর্তি সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখভালের দায়ভার দেওয়া হয়৷ তাতে শিক্ষকদের ভূমিকা প্রথমদিকে সেভাবে থাকেই না৷ অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার শুরুতে শিক্ষকদের কাজে না লাগলেও এবার করোনা-কালে সেই শিক্ষকদের ভর্তির জন্য কলেজে আসতে হবে সব শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে খবক৷ বহু কলেজের অধ্যক্ষরা এই নির্দেশ পাঠাচ্ছেন৷ অভিযোগ উঠেছে, রাজ্য সরকারের আদেশের কিছুটা ভুল ব্যাখ্যা করে এমন নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে৷ আত তাতেই শিক্ষক মহলে তৈরি হয়েছে জলঘোলা৷
অন্যদিকে, শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন শুক্রবার একটি নির্দেশিকায় সাফ জানিয়েছেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কলেজ-হস্টেল বন্ধ থাকলেও ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে৷ ওই ভর্তি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ছাড় দেওয়া থাকবে৷ প্রয়োজনে তাঁরা কলেজে যেতে পারেন৷ অভিযোগ, বহু অধ্যক্ষ সেই নির্দেশ বদে শিক্ষকদের সবাইকে কলেজে আসার আবশ্যিক বলে ধরে নিয়েছেন৷
১০ আগস্ট শুরু হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া৷ কাজ না থাকলেও ওই দিন থেকে শিক্ষকদের আসার নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কলেজ শিক্ষকদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, অনলাইন ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া চলার সময় করোনা-কালে সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কলেজে আসেন, তাহলে টিচার্স রুমে কুলোবে তো? উল্টে, সংক্রমণ ছড়াবে না তো? তার উপর এখনও গণ পরিবহণ সচল হয়নি৷ মোটা টাকা খবর করে কি কলেজে যেতে হবে? উঠছে নানান অভিযোগ৷