কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এমনটাই মনে করছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি মিডডে মিলের যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে, তা এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে তারা। তাই মিডডে মিল, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একগুচ্ছ দাবি জানাল সংগঠনটি। এই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে চিঠিও লিখেছে তারা।
দেশজুড়ে আচমকাই লকডাউন জারি হওয়ায় রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও পড়ুয়াদের মিডডে মিলের চাল ও আলু দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ফজলুল হক বলেছে, 'করোনা সংক্রমণ রুখতে পুষ্টির প্রয়োজন জরুরি হলেও মিডডে মিলে কেবল চাল, আলু দেওয়া হচ্ছে।' এছাড়া মিডডে মিলের কর্মীদের দুরবস্থার কথাও জানিয়েছে তারা। শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তারা জানিয়েছে, 'ছুটি অ্যাডজাস্ট বা ক্লাসের সময়সীমা বৃদ্ধি করে সিলেবাস শেষ করার সিদ্ধান্ত না নিয়ে সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়ার ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে। মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়নি।'
সরকারের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। এই প্রসঙ্গেই একগুচ্ছ দাবির কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। সেখানে মিডডে মিলের পরিবর্তে প্রতিদিন দু'বেলা হিসেবে পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ, মিডডে মিল কর্মীদের খাদ্যসামগ্রী ও বিশেষ ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি স্কুল খোলার আগে স্যানিটাইজ ও পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের ক্ষেত্রে উপযুক্ত মান বজায় রাখা, প্রথম শ্রেণি থেকে পাশফেল প্রথা চালু করা ও অবিলম্বে মদ বিক্রি বন্ধ করার কথা জানিয়েছে তারা।