কলকাতা: শিক্ষার প্রাঙ্গনে অসম্মানিত খোদ শিক্ষিকা৷ স্কুলের শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার আভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ অভব্য আচরণের অভিযোগ তুলে খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠালেন বোলপুরের ওই শিক্ষিকা৷
আরও পড়ুন- অগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল নেত্রী, ভাইরাল ছবি ঘিরে বিতর্কের ঝড়
ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক লাগাতার তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করে চলেছেন। এমন কী স্কুলে সিটিটিভি বসিয়ে তাঁর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ শিক্ষিকার বিস্ফোরক দাবি, যৌন লালসা চরিতার্থ করতেই বার বার তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিক। যদিও ওই শিক্ষিকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
ওই শিক্ষিকার কথায়, “আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় নারীদের সম্মান করতে জানেন না। আমার উপর অন্য নজর ওঁর। উনি যৌন লালসা মেটানোর তাগিদে মাঝেমধ্যেই আমাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এই ওঁর প্রস্তাব না মানায় উনি নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করতে শুরু করেন। অপদস্থ করেন। কিন্তু কোনওভাবেই আমি ওঁর পথে হাটিনি। এরপরই উনি আমার উপর নজরদারি চালাতে স্টাফ রুমে সিসিটিভি লাগিয়ে দেন। আমাকে এও বলেছিলেন, আমি ওঁর সঙ্গে স্কুলের বাইরে আলাদাভাবে দেখা করলে আমাকে নানা সুযোগ-সুবিধা দেবেন।”
এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পাল্টা দাবি, “এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গোটা স্কুলেই সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। আমার ঘরেও রয়েছে৷ স্টাফ রুমে, ক্লাস রুমেও রয়েছে। মোট ১৬টা সিসিটিভি স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট জায়গায় ক্যামেরা লাগিয়ে কোনও শিক্ষিকার উপর নজরদারির প্রশ্নই নেই। দ্বিতীয় কথা, কেউ কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকলে তা প্রমাণের প্রয়োজন রয়েছে। উনি আগেও এসব বলেছেন।”