কলকাতা: আরও বাড়তে চলছে লকডাউনের মেয়াদ৷ আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ দু’এক দিনের মধ্যে বর্ধিত লকডাউনের ঘোষণা হতে পারে৷ বাংলায় করোনা প্রভাবিত এলাকায় পুরোপুরি লকডাউনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন৷ করোনা ও লকডাউনের জেরে গভীর অনিশ্চয়তা বাংলা-সহ দেশের চাকরির বাজার৷ রাজ্যে একাধিক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ শূন্য রয়েছে৷ কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও করোনায় থকমে সবকিছুই৷ রয়েছে মামলার গেরো৷ আর তার জেরে চরম অনিশ্চিত বাংলার কয়েক লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ৷
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগেই লাটে উঠেছে৷ চলছে মামলা৷ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাঁচ বছর পরও উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি অনিয়মের জেরে৷ গত ৪ অক্টোবর চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ হলেও লাটে নিয়োগ৷ চলছে মামলা৷ ঝুলে রয়েছে ১৪ হাজার ৮৮ শূন্যপদ৷ অনিশ্চিত ৩০ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য৷ একের পর এক অনিয়মের জেরে স্থগিত রয়েছে নিয়োগ৷ হাইকোর্টে মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি৷ একদিকে করোনা প্রভাব, অন্যদিকে মামলা, চরম অনিশ্চয়তায় মধ্যে দিন গুনছেন সফল প্রার্থীরা৷
করোনার জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে৷ অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগ হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই কোনও নিয়োগ হবে না৷ আগে মানুষ বাঁচুক, তার পর নিয়োগ৷ করোনার জেরে সাধারণ জনতা ঠিক যেমন সমস্যায় পড়েছেন, ঠিক তেমনই দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চরম দুঃশ্চিন্তায় মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকে সফল বাংলার কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থী৷
অন্যদিকে, চরম অনিশ্চিত প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ পরীক্ষা ফি বাবাদ অর্থ ও আবেদনপত্র জমা নেওয়াপ পরও শূন্যপদ থেকে শুরু করে পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও জানাতে পারেনি পর্ষদ৷ফলে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও সংশয় ঘনিয়ে এসেছে৷
তবে, বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, যেহেতু অর্থ দপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষেই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ২০১৪ সালে, ফলে, ওই নিয়োগে সমস্যা হওয়ার কথা না৷ তবে, প্রশ্ন উঠছে, করোনার জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় যখন সরকার ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে, তখন প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে ২০ হাজারের মতো নিয়োগ করার ঝুঁকি আদৌ নেবে সরকার?