কলকাতা: বর্ধমানের মেমারিতে নিজের বাড়িতে মিলেছে হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দাসের ঝুলন্ত দেহ। অবসরের পর ৩ বছরেও পেনশন না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন বলে অভিযোগ পরিবারের। ২০১৯ সালে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। পেনশনের জন্য অনেক বার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ।
আরও পড়ুন- নির্দেশ কার্যকর হয়নি! সিবিআইয়ের ওপর ফের রুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলছেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং হৃদয় বিদারক ঘটনা। একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বা কর্মচারী কেন অবসর গ্রহণের পর সঙ্গে সঙ্গে পেনশন পাবেন না? কেন আজও হন্য হয়ে অফিসে অফিসে দৌড়াতে হবে পেনশনের জন্য? এই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এ আমাদের লজ্জা। তাঁর অভিযোগ, প্রতিটি দফতরে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে। কেন তাঁকে এবং তাঁর মত অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মচারীদের অবসরের পরেই পেনশন দেওয়া হচ্ছে না তার তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, এমনই দাবি তোলা হয়েছে। ‘শিক্ষারত্ন’ পাওয়া প্রধান শিক্ষকের প্রতি যদি এই আচরণ করা হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষক, কর্মচারীদের প্রতি আচরণ কেমন হয়ে থাকে তা সহজেই অনুমেয়, বলছে এই সংগঠন।
অবশ্য এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকের পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে দফতরের বিশেষ সচিবের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে দফতরের কারও ভূমিকা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে অবসর নিলেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স বিভাগের তদন্ত চলায় পেনশন চালু করা যায়নি। তবে তাঁকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অন্তর্বর্তী পেনশন দেওয়া হচ্ছিল।