প্রধান শিক্ষকের ঘুসিতে নাক ফাটল অঙ্ক শিক্ষকের, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

প্রধান শিক্ষকের ঘুসিতে নাক ফাটল অঙ্ক শিক্ষকের, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

কলকাতা:  নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের পর এবার  উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা৷ ফের স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই শিক্ষক৷ প্রধান শিক্ষকের ঘুসিতে নাক ফেটে গলগল করে রক্ত ঝরল অঙ্কের শিক্ষকের৷ মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে রীতিমতো ছটফট করলেন তিনি৷ যা দেখে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দিল পড়ুয়ারা৷ উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গার বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলের ঘটনা৷ 

আরও পড়ুন- অখিলেশের খেলা শেষ করতে গিয়েছেন মমতা, কটাক্ষ দিলীপের

এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ শুক্রবার স্কুলে দুই শিক্ষকের মধ্যে এই হাতাহাতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেগঙ্গার দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই স্কুলে। স্থানীয় সূত্রে খবর,  প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ তাঁর স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক কার্তিক পালের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। ঘুসি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেন৷ ক্লাসরুমের মেঝেতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন কার্তিকবাবু৷ এর পরেও তিনি কার্তিকবাবুর শুশ্রূষার কোনও ব্যবস্থাও করেননি৷ বরং স্থানীয় মানুষ খবর পেয়ে স্কুলে ছুটি আসানে৷ তাঁরাই স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, কার্তিকবাবুর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। যার ফলে তাঁকে সেখান থেকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। 

আহত শিক্ষক কার্তিক পালের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। অসুস্থ শরীরেই প্রতি দিন স্কুলে আসছেন। তাছাড়া তিনি প্রধানশিক্ষকের কাছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পান৷ দুই বছর ধরে টাকা ফেরত দিচ্ছেন  না৷ চিকিৎসার খরচ মেটাতে সেই টাকাই তিনি ফেরত চেয়েছিলেন৷ কিন্তু পাওনা টাকা চাইতেই শুরু হয় বচসা। যা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং তাঁকে বেধরক মারধর করা হয়। অন্যদিকে, প্রধানশিক্ষকের দাবি,  স্কুলে আসার কিছু ক্ষণের মধ্যে বাড়ি যাওয়ার কথা বলেও ওই সহকারী শিক্ষক। তা নিয়েই কথাকাটি থেকে গন্ডোগোলের সূত্রপাত৷ কার্তিকবাবুই নাকি প্রথমে তাঁর গায়ে হাত তোলেন৷ এই ঘটনায় অবশ্য প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ৷