মাথায় গামছা বাঁধা, রক্তাক্ত অবস্থা ছিল! ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক ট্যাক্সিচালক

মাথায় গামছা বাঁধা, রক্তাক্ত অবস্থা ছিল! ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক ট্যাক্সিচালক

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সেই রাতে আদতে কী হয়েছিল তা জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। ৯ জন এই ইস্যুতে গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের বয়ান ছাড়াও এখনও একাধিক তথ্য হাতে পাওয়া বাকি তদন্তকারীদের। দুই ডায়েরি সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তারা পেয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীর চাঞ্চল্যকর বয়ানও তাদের তদন্তে দিশা দেখিয়েছে। এবার সেই ট্যাক্সি চালকের বয়ান পাওয়া গেল যে ট্যাক্সি করেই সেই রাতে যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

ঠিক কি হয়েছিল ওই রাতে? সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে ওই ট্যাক্সি চালক জানিয়েছেন, অনেকে মিলে তাঁকে আচমকা ডেকে নিয়ে যায়। তারপর একজনকে মাথায় কাপড় বাধা অবস্থায় তার গাড়িতে তোলে। ওই ছাত্রকে দেখে মনে হচ্ছিল তার মুখ ফেটে গেছিল। এরপর তাদের সকলকে হাসপাতালে ছেড়ে ভাড়া নিয়ে ওখান থেকে চলে যান তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, হস্টেলের আবাসিক এবং অন্যান্য ছাত্র যারা সেদিন ওখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র বাইরের লোক এই চালক। তাই তার বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বয়ান থেকে আগামী দিন মূল বিষয়টি সামনে আসবে বলে অনুমান। 

ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতেই খুন করা হয়েছে ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রকে। পরিকল্পনা করে চিঠি লেখানো থেকে শুরু করে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে আবার ধৃতদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ। কারোর সঙ্গে কারোর বক্তব্যে মিল নেই৷ প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কথা বলছেন৷ এই ন’জনের মধ্যে সত্য বলছে কে? সেটা জানতেই এবার ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =