কলকাতা: পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবার টিকিট পাবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই রকম কিছু ঘটেনি উল্টে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন ‘জোড়া পাতা’ প্রতীকে। তনিমা ছাড়াও নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছিলেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি কারোর। কারণ, দুজনেই আজ ভোটে হেরেছেন। সুব্রত বক্সির ভাই সন্দীপ বক্সীর কাছে পরাজিত সচ্চিদানন্দ। অন্যদিকে, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে হারলেন প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন, তনিমা।
নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তনিমা চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনার পরে দলীয় নির্দেশ এসেছিল যাতে তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন কিন্তু সেটা করেননি কেউই। অবশেষে দলীয় নির্দেশ অগ্রাহ্য করার কারণে এই দু’জনকে বহিষ্কার করে ঘাসফুল শিবির। অনেকেই মনে করেছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেস এই দুজনের জন্য অস্বস্তিতে পড়তে পারে। কিন্তু ভোটের ফল বলছে সম্পূর্ণ উলটো কথা। অন্যদিকে, তনিমার বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘ভাবশিষ্য’ সুদর্শনা। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি তিনিই হেসেছেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের হিসেব অনুযায়ী, তৃণমূলের ভোট আরও বেড়েছে কলকাতা পুরভোটে। অন্যদিকে, বিজেপির প্রায় ২৩-২৪ শতাংশ ভোট কমেছে! তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সিপিএমের ভোট বিধানসভার নিরিখে আপাতত বেড়েছে ৮ শতাংশের মত। যা অবশ্যই বামেদের একলা চলো নীতির সাফল্য। এই ভোটের পর বিজেপি যেন আরও অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল। বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল ছিল না তাদের। ২০০ আসন লক্ষ্য নিয়ে নামা বিজেপি আটকে যায় ৮০ কোটায়। তারপর উপনির্বাচন কিংবা বকেয়া বিধানসভা ভোট, সবেতেই গো-হারা হেরেছে তারা। এবার পুরভোটে সিপিএমের থেকে পিছিয়ে গিয়েছে তারা।