কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের মুখে একের পর এক হেভিওয়েট নেতার দলবদলে যখন কার্যত বিপর্যস্ত রাজ্যের শাসক শিবির, ঠিক তখনি দুটি বড় প্রকল্পের ঘোষণা করে রাজ্যবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দুয়ারে সরকার’ আর ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পকে বিরোধীরা যতই কটাক্ষ করুক, ভোট বাজারে তা যে সাফল্যের মুখ দেখেছে তা অনস্বীকার্য। সেই বহু চর্চিত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়েই এবার ফের বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
প্রতি তিন বছর অন্তর পুনর্নবীকরণ করা হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবন থেকে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা যখন দলবদল রং পাল্টানোর খবর বলেন, উন্নয়নের খবর তখন ধামাচাপা পড়ে যায়। অথচ এই খবরই সবার আগে আসার কথা।” এরপরেই সরকারি প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তৃণমূল ভবন থেকে তিনি বলেন, “আজকে যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেল আবার তিন বছর পর তিনি সেটা পুনর্নবীকরণ করতে পারবেন।” বস্তুত, ভোটের মুখে ঘোষিত এই প্রকল্পকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এটা যে শুধু কথার কথা নয়, এদিন তাও স্পষ্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, সরকারি বেসরকারি জায়গায় দশ কোটি মানুষের কাছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বাজেটে আগামী অর্থবর্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” নিন্দুকদের এক হাত নিয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, এই প্রকল্প চলমান থাকবে। প্রতি বছরে দু’বার করে শিবির করা হবে।
ভোটের আগে সম্প্রতি রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়েছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের দুর্নীতিতে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। এদিন সরকারি প্রকল্পের ঘোষণায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সে দলত্যাগী নেতাকেও কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, “এতদিন দম বন্ধ না হয়ে থাকল কি করে? এ তো কোনো সাঁতারুরাও পারে না।” সাংবাদিকদের উন্নয়নের খবরে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।