‘উত্তম’ প্রদেশে দুর্গোৎসবে নিষেধাজ্ঞা, যোগীকে ‘বৈষম্যে’র বার্তা স্বপন দাশগুপ্তর

‘উত্তম’ প্রদেশে দুর্গোৎসবে নিষেধাজ্ঞা, যোগীকে ‘বৈষম্যে’র বার্তা স্বপন দাশগুপ্তর

 নয়াদিল্লি: নিউ নর্মালে বাংলায় যখন দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি উর্দ্ধগগনে, ঠিক তখন বাঙালির প্রাণের উৎসবে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ যোগী সরকারের এই ঘোষণা ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি৷ এবার বিতর্কের আগুন ছড়াল বিজেপির অন্দরে৷ অদূরে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে বাঙালির প্রাণের উৎসবে যোগীর নিষেধাজ্ঞা বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ বাঙালি আবেগের গুরুত্ব বুঝে এবার উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের দুর্গা পুজোর উৎসবে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত৷ যোগী সরকারের নির্দেশ ‘বৈষম্যমূলক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি৷ বাঙালি হিন্দুরা এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছে বলেও টুইটারে যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন স্বপন৷

মঙ্গলবার সকালে একটি টুইট করেন করেছেন স্বপন৷ সেখানে তিনি লেখেন, ঘরের মধ্যে দুর্গাপুজো করার যে নির্দেশ উত্তরপ্রদেশ সরকার দিয়েছে, তা অন্যায়, অবাস্তব৷ যে ভাবে রামলীলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একই ভাবে কঠোর অথচ সংবেদনশীল বিধিনিষেধ আরোপ করে দুর্গাপুজোর অনুমতিও দেওয়া উচিত৷ আর সেটা না হলে বৈষম্যমূলক হবে৷ উত্তরপ্রদেশের বাঙালি হিন্দুরা এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাচ্ছে৷’’

স্বপনের এই টুইটকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ কেননা, এমনিতেই বিজেপিকে অবাঙালি রাজনৈতিক দল দেগে দেওয়া থাকে নানা মহল থেকে৷ কিন্তু, সেই দলের পাখির চোখ এখন বাংলা, বাঙালি ভোট৷ আর সেই লক্ষ্যে উঠেপড়ে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি৷ আর সেখানেই যদি বাঙালি আবেগে আঘাত হানা হয়, তাহলে ভোটের বাক্সে তার প্রভাব পড়তে পারে, তা বিলক্ষণ জানেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷ ফলে, বিজেপির সাংসদের এই টুইট বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি বাড়ালেও বঙ্গ বিজেপি কতটা ডিভিডেন্ট ঘরে তুললতে পারবে, সেদিকে তালিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ করোনার সংক্রমণের আশঙ্কায় এ বছর উত্তরপ্রদেশে প্যান্ডেল বেঁধে দুর্গাপুজো করা যাবে না৷ পুজো করতে চাইলে বাড়িতে করতে হবে৷ স্বাভাবিক ভাবেই যোগী সরকারের নির্দেশ বাঙালি আবেগে কত বড় ধাক্কা, তা বুঝতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷ যে যোগী নিজেকে হিন্দুদের রক্ষাকর্তা বলে দাবি করে থাকেন, যে যোগী উত্তরপ্রদেশকে ‘উত্তম’ প্রদেশ নির্মাণের শপথ নিয়েছেন, সেখানে কেন হিন্দু বাঙালিদের আবেগে ‘নিষেধাজ্ঞা’? নাকি বাঙালি বিদ্বেষ? সংগত কারণে উঠছে প্রশ্ন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *