নয়াদিল্লি: ফের একবার রাজ্যসভায় মনোনীত হলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন স্বপনবাবু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে পারলেন না। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের ঠিক একমাসের মাথায় নিজের রাজ্যসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন স্বপনবাবু। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই কথা জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন স্বপন দাশগুপ্ত। অতঃপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তারকেশ্বর থেকে বিজেপি প্রার্থী হন তিনি। এরপরই শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক। এই কান্ড সংবিধান বিরোধী বলে প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “দেশের সংসদীয় আইন ভঙ্গ করে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন স্বপনবাবু। সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যসভার মনোনীত কোনও সদস্য যদি শপথগ্রহণের ৬ মাস পর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তার রাজ্যসভার সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।” এই অভিযোগের ভিত্তিতে তারকেশ্বর থেকে প্রার্থী হওয়ার পরেই রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বপন দাশগুপ্ত। নির্বাচনে জিতলে স্বপনকে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদেই দেখতে চেয়েছিল বিজেপির অন্দরমহল। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তারকেশ্বর থেকে স্বপনবাবু এবং বাংলা থেকে বিজেপির হার হল।
২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভায় মেয়াদ ছিল স্বপনবাবুর। সেই বাকি মেয়াদ পর্যন্তই তাকে সভার সদস্য হিসেবে পুনরায় মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। স্বপন দাশগুপ্ত ছাড়াও মঙ্গলবার আরও ১২ জনকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি।