মানকুণ্ডু: আজ চন্দননগরের জনসভা থেকে একের পর এক ইস্যুতে নিজের সভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সুপ্রিমো মমতা বন্ধোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে গেলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট দাবি করলেন, এই সরকার না তাড়ালে চাকরি হবে না। পাশাপাশি বললেন, মমতার মাথা কাজ করছে না, হিসাব মেলাতে পারছেন না তিনি।
এদিন বিজেপি নেতা দাবি করে বলেন, এই সরকারকে না তাড়ালে চাকরি হবে না। তৃণমূল জমানায় ৭ বছর এসএসসি-র পরীক্ষা হয়নি। ৪ বছর কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নেই, পুলিশের রেশন নেই। অন্যদিকে, লকডাউনে চাল চুরি, আমফানের ত্রিপল চুরি হয়েছে। শিল্পীদের কাছ থেকেও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। এর ভিত্তিতেই শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের মিছিলে যান, ভোট দিন বিজেপিকে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পুরো ধাপ্পাবাজি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মানুষ পাচ্ছে না। কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প চালু হতে দেয়নি এই সরকার। আরও অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এখানে। সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে নাম কেনার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি হয়ে গেছে।‘রাজ্য মন্ত্রিসভায় সব মন্ত্রী ল্যাম্পপোস্ট, একটাই পোস্ট।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে দু’জায়গায় দাঁড়াতে দেবেন না। দাঁড়াতে গেলে এক জায়গাতেই দাঁড়াতে হবে। অন্যদিকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কেন ছাড়লেন সেই ব্যাপারেও শুভেন্দু বলেন, ২১ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দল করার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন সেটা এখন আর রাজনৈতিক দল নেই একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। তিনি কর্মচারী হয়ে কোন দলে থাকতে পারবেন না বলে সেই দল ছেড়েছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায় সহকর্মী এবং সহযোদ্ধা হিসেবে এই দলে থাকতে পারেন তিনি। শুভেন্দু আরও দাবি করেন, তৃণমূল নামেই সর্বভারতীয়, অসমে দাঁড়ালে ২০০ ভোট পায়, ঝাড়খণ্ডে ৫০। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে ‘গরুর গাড়ির হেডলাইট’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।