নন্দীগ্রাম: তৃণমূল-বিজেপি তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রামের বয়াল৷ মারমুখী দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘিরে ধুন্ধুমার৷ অন্যদিকে এই মুহূর্তে বয়ালের ৭ নম্বর বুথেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর টিপ্পনি, সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে৷ আর দুপুর ২টোর সময় প্রার্থী ঘুরতে বেড়িয়েছেন৷ ৭০ শতাংশ ভোট পরার পর প্রার্থী বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন৷ আসলে জয় শ্রীরামের ভয়৷ শেষ জনসভায় রেয়াপাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন এত জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠেছিল যে সেই জন্যই আজ একটু ভয় পেয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘নির্দেশে’ বহিরাগত হল্লা, বিস্ফোরক মমতা
প্রসঙ্গত, এদিন বেলা ১টার পর রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সকাল থেকে ভোট ময়দানে তাঁর দেখা মেলেনি৷ অন্যদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁতা দিতেও ছাড়লেন না তিনি৷ তাঁর কথায়, জয় শ্রীরাম ধ্বনির ভয়েই উনি বেরতে পারেননি৷ তাঁর মুখে ব্যঙ্গের হাসি৷ তবে বাড়িতে থাকলেও সেখানে বসেই সমস্ত খবরা খবর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসার খবর পেয়ে কমিশনের কাছে সুস্থ ভাবে ভোট করানোর আবেদন জানান তৃণমূল নেত্রী৷ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি৷ কোনও কোনও বুথ দখল করে নিয়েছে বিজেপি৷ অনেক জায়গায় ভোটারদের বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এমনকী ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে৷ এদিন সকাল থেকেই এই সকল খবর রেয়াপাড়ায় মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের অস্থায়ী বাসভবনে আসছিল৷ এখানে একটি কনট্রোলরুও খুলেছেন তিনি৷ বিভিন্ন পার্টি অফিস থেকে তাঁর কাছে খবর আসতে থাকে৷ এবং বাড়িতে বসেই তিনি নির্দেশ দিতে থাকেন৷