‘হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকে পদ্ম ফোটাব’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

‘হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকে পদ্ম ফোটাব’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

টিটাগড়:  বাবুল সুপ্রিয়, অর্জুন সিং ও সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে এদিন রোড শো করলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ রোড শো শেষে জনসভা থেকে ‘পিসি-ভাইপোকে’ তুলোধোনা করলেন তিনি৷ বললেন, রসাতল থেকে বাংলাকে বাঁচাতে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও বিকল্প নেই৷ অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছি৷ 

আরও পড়ুন- কেন পালালেন শুভেন্দু? গুরুতর প্রশ্ন তুললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

এদিন তৃণমূলকে সাবধান করে শুভেন্দুর হুঙ্কার, ‘‘পিসি ভাইপোর সরকারটি আর ফিরছে না৷ এই সরকারের যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে৷’’ এদিন আরও একবার তৃণমূল কংগ্রেসকে কোম্পনি বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ শুভেন্দু বলেন, এই দলটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে৷ আমাদের ওই কোম্পানির কর্মচারি করে দেওয়া হয়েছিল৷ সে কারণেই আমরা বেরিয়ে এসেছি৷ কারণ আমরা কর্মচারি হতে পারব না৷’’  মাঠে নেমেছি দু’জনকে হারাব বলে৷ 

নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে বহিরাগত বলা হচ্ছে৷ তুই তোকারি করা হচ্ছে৷ এটা বাঙালি সভ্যতা নয়৷  আমরা আগে ভারতীয় পরে বাঙালি৷ শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওরা বলছে আঞ্চলিক দল করলি না কেন? করলে তোদের খুব সুবিধা হত না? আমি তো মাঠে নেমেছি দু’জনকে হারাব বলে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাইপোর নাম বলিনি, কিন্তু ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে বলছে, আমি কি তোলাবাজ?’’ এখান থেকে কাটমানি সিন্ডিকেট, বুয়ো-ভাতিজা সাফ করতে হবে৷  তৃণমূলকে উপরে ফেলে পদ্ম ফোটাতে হবে৷ আমার লজ্জা হয় ২১ বছর তৃণমূল কংগ্রেস করেছি৷ 

আরও পড়ুন- ২ সদ্যোজাতের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি, উদ্বেগ বাড়ছে বাংলায়!

তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় ভাইপোর রাগ হয়েছে৷ উনি আমাকে বলেছেন, লজ্জা করেনা? যে বাড়িতে সবাই জোড়া ফুল ছিল, সেখানে পদ্ম ফোটাতে৷’’ এর জবাবে তিনি বলেন,  এখনও তো বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি৷ সবে কুড়ি ফুটেছে৷ এবার পদ্ম ফুটবে৷ আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে৷ আর হরিশ চ্যাটার্জীর বাড়িতে ঢুকে আমি পদ্ম ফোটাব৷’’ অমিতজি বলে গিয়েছেন, ‘ইস বার ২০০ পাড়৷’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =