বিধানসভায় তৃণমূলের ভাষা সন্ত্রাস, অধ্যক্ষকে ‘দলদাস’ বলে তোপ শুভেন্দুর

বিধানসভায় তৃণমূলের ভাষা সন্ত্রাস, অধ্যক্ষকে ‘দলদাস’ বলে তোপ শুভেন্দুর

4b2bd42004be75edb4f17552cfdd5dec

কলকাতা:  উত্তপ্ত বঙ্গ বিধানসভা৷ আজ বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা৷ এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ 

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর শব্দচয়নে আপত্তি স্পিকারের! ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে উত্তাল বিধানসভা, বয়কট

তিনি বলেন, এবারের বিধানসভায় তিনটি উল্লেখজনক দিক রয়েছে৷ প্রথমত, বিধানসভায় ৭৭জন বিধায়ক নিয়ে বিরোধী আসনে বসেছে বিজেপি৷ দ্বিতীয়ত, বিধানসভা তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথম কংগ্রেস ও সিপিএম-এর কোনও প্রার্থী জিতে আসতে পারেননি৷ আরও তৃতীয় উল্লেখযোগ্য দিকে হল একজন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন৷ তাঁর দল জিতেছে৷ আর তাঁকে যানি হারিয়েছেন, তিনি বিরোধী দলনেতা হয়েছেন৷ এটা একেবার হূলের মতো বিঁধেছে৷

শুভেন্দু আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখের ইশারায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা রে রে করে উঠেছেন৷ তাঁরা আসলে ওই কোম্পানির কর্মচারী, এক একটা ল্যাম্প পোস্ট৷ তাঁদের নেত্রী হেরে যাওয়ায় তাঁদের আরও গাত্রদহ৷ ১৯৯৬ সালে কেরলে এলডিএফ জিতেছিল কিন্তু অচ্যুতানন্দ হেরে গিয়েছিলেন৷ এলডিএফ নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিয়েছিল৷ এর পরে হিমাচল প্রদেশে বিজেপি জিতলেও প্রেম কুমার ধুমল ২টি আসনে হেরে যান৷ নৈতিক কারণে তিনি নিজে সরে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু এ রাজ্যে তা হয়নি৷

এদিন স্পিকারকে ‘দলদাস’ বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ২ কোটির উপর ভোট পাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধী আসনে বসেছে৷ অথচ স্পিকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন৷ এটা গণন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক৷ শুভেন্দু আরও বলেন, আমরা শাসক দলের আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখি৷ কিন্তু স্পিকারকে সংসদীয় রীতিনীতি আইন মেনে চলা উচিত৷ উনি তা করেননি৷ স্পিকার বিরোধীদের সংরক্ষণ দিচ্ছেন না৷ সে কারণেই আমরা ওয়াক আউট করেছি৷ 

আরও পড়ুন- জ্বালানির দাম কমবে কীভাবে? মমতাকে ‘বোঝাল’ বিজেপি

শুভেন্দুর কথায়, ভোটের পর হাজার হাজার বিজেপি কর্মীর উপর অত্যাতার হয়েছে৷ তাঁদের ঘর ছাড়া করা হয়েছে৷ মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে৷ তৃণমূলের সেই ভাষা সন্ত্রাস, ক্ষমতার সন্ত্রাস বিধানসভার মধ্যেও দেখল বিধায়করা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *