মেদিনীপুর: মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এবার আরও এক সিদ্ধান্ত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিধায়ক পদ ছাড়েননি তিনি। এবার বিধানসভা এলাকায় দলের ব্লক কার্যালয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। আলাদা করে ফেললেন অফিস।
শুভেন্দু অধিকারী এতদিন নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রেয়াপাড়া এলাকার তৃণমূল কার্যালয় থেকেই বিধায়কের কাজ সামলাতেন। সেটিই ছিল তাঁর অফিস। কিন্তু এবার তিনি অফিস আলাদা করে নিলেন। বিধায়কের অফিস অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করেন তিনি। তবে সেই অফিসে তৃণমূলের নাম নেই। তবে তিনি যে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তা লেখা রয়েছে। বিধায়কের এহেন কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুভেন্দু কি তবে ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন? অবশ্য এই প্রশ্ন নিতান্ত অবান্তর নয়। কারণ এই নতুন কার্যালয়ে লেখা ‘শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র’।
তবে এমনটা যে ঘটবে তা দিন দুই আগেই বোঝা গিয়েছিল। কারণ কোর কমিটির বৈঠকের পর তিনি কলকাতায় আসেন। অফিস আলাদা করার পিছনে শুভেন্দুর অনুগামী শিবশঙ্কর ভারতী বলেন, প্রতিদিন বিধায়কের কাছে অনেকে আসেন। কিন্তু তাঁর আগের অফিসটি ছোট ছিল। তাই স্থান সংকুলান হত না। ফলে বিকল্প হিসেবে বড় অফিস নেন তিনি। তবে নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়ার বক্তব্য, পুরনো অফিসে বিধায়কের অফিস থাকলে সবদিক থেকে ভাল হত। কিন্তু শুভেন্দু সম্ভবত কোনও কারণে অফিস বদল করেছেন। তবে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও শুভেন্দু যে এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন, তা নিশ্চিত করেছেন তিনি। যদিও শুভেন্দু কেন তাঁর বিধায়কের অফিস বদলে ফেললেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
ঘটনায় বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পালের উক্তি, “শুভেন্দুবাবুর দেহটা তৃণমূলে, মনটা অন্যত্র।” এরপরই তৃণমূলকে খোঁচা দেন প্রলয় পাল। বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে এখন কেউ থাকতে পারছেন না। শুভেন্দু সহ আরও কেউ দল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যের মসনদে শাসকদল বদলের ক্ষেত্রে নন্দীগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি ছিল। তার অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার ফের নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তাই ভাবাচ্ছে অভিজ্ঞদের।