নন্দীগ্রাম: সনাতনের ধ্বজা রাজ্যে সর্বত্র তুলে তারপর রাজনীতি থেকে বিশ্রাম নেব। সোমবার দুপুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে এমনভাবেই এলাকার মানুষজনদের আশ্বস্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এদিন নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজ থেকে মহেশপুর বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহেশপুর বাজারে প্রতিবাদ মিছিল শেষ করে সেখানে হোম- যজ্ঞে অংশ নেন তিনি। সেখান থেকেই রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা ভাষায় তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, ‘‘আমাকে ওরা আটকাতে পারবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন।’’
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এবং ‘খালা’কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অনেক বড় বড় শক্তিকে ফেলে দিয়েছি। সিপিএমের সূর্য যখন মধ্য গগণে লক্ষ্মণ শেঠ ভূপাতিত। আবার ২১৩ আসন নিয়ে জিতছেন খালা। কিন্তু এদিকে খালা হারছেন নন্দীগ্রামে। অতএব শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না। ওই সব মিথ্যে মামলায়, পুলিশের ধমকানি- চমকানি দেখে ভয় পেলে ২০০৭ সালেই গুছিয়ে নিতাম। কিচ্ছু করতে পারবে না। আমার মন্ত্র চরৈবেতি চরৈবেতি।”
একই মঞ্চ থেকে শুভেন্দু সিপিএমের মৃদু প্রশংসা করে বলেন, “সিপিএম ধর্ম মানতো না। কিন্তু তারা এই কালীপুজোর সময়, ছটপুজোর সময়, ধনতেরাসের সময়, আদিবাসী উৎসবের সময়, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় বিধানসভা করেনি। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে এই যে তোষনবাজ সরকারটা আছে এ সরকার কালিপুজোর সময় বিধানসভা করছে। কিন্তু আমরা উৎসব না শেষ হওয়া পর্যন্ত বিধানসভায় যোগ দেব না।”
নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতির খুনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, “এই জেহাদিরা যারা আমার চিল্লোগ্রামের দেবব্রত মাইতিকে খুন করেছে। আবার এই জেহাদিরাই বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়ি পুড়িয়েছে, ঘর ভেঙেছে। কিন্তু ইকবাল হোসেনের বাড়িতে ঢিল ছোড়েনি। ইকবালকে সাহায্য করেছে ইক্রম, হুমায়ুন। জাহাজ বাড়ির আত্মীয় এরা। তাই আমাদের মাঠে নামতে হয়েছে এবং প্রতিবাদ চলছে চলবে।” একই সঙ্গে নন্দীগ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে শুভেন্দু বলেন, “একটা হিন্দুর গায়ে হাত পড়লে প্রতিবাদ হবে। নন্দীগ্রামের ১৭ টা অঞ্চলে ইলেকট্রিক কানেকশন যাদের আছে সিসিটিভি বসাব। যাতে ইকবালরা ধরা পড়ে। আর প্রত্যেকটা মন্দিরে মাইক সেট দেব। সকালে এবং সন্ধ্যা আরতির সময় কীর্তন বাজবে, খঞ্জনি বাজবে, মৃদঙ্গ বাজবে।”