কলকাতা: দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট জানালেন পরের সপ্তাহে তিনি হাইকোর্টে যাবেন এই বিষয়ে। আর পাশাপাশি মুকুল রায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও তিনি কথা বলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁদের কার্যত একহাত নিয়েছেন।
এদিন দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, তাঁরা পরের সপ্তাহে হাইকোর্টে যাচ্ছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন বিগত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এবং বর্তমান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। আরও জানান যে, গাজলের বিধায়কের ২৩ বার হিয়ারিং করেও তা সম্পন্ন করা হয়নি। পুরনো তথ্য এবং অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী সপ্তাহে তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন। তাঁদের মূলত দুটি দাবি, এক দ্রুত দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা অথবা দুই, অত্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষের নিষ্পত্তির ফলাফল ঘোষণা করা। এদিকে, জানা গিয়েছে তৃণমূল নেতা মুকুল রায় একমাস সময় চেয়ে নিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি অসুস্থ ঘোষণা করেছেন নিজেকে, আর ত্রুটিপূর্ণ পিটিশন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- পুজোর পর স্কুল খোলার ইঙ্গিত, পরিকাঠামো সংস্কারে সমীক্ষার কাজ শুরু
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৪ পাতার একট আবেদন জমা দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দুটি শুনানি হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে এক মাস সময় চেয়েছেন মুকুল রায়। এদিকে বিগত কয়েক দিনে মুকুল রায় যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তার প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, তিনি কোন দলে রয়েছেন তা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে পারবেন। কারণ তিনি তৃণমূলের চেয়ারপারসন এবং ‘কোম্পানির মালকিন’, কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের।