কলকাতা ও হাওড়া: অভিযুক্ত শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা৷ তাই তাকে আড়াল করতে বদলে ফেলা হয়েছে আসামী! বাগনানে বিজেপি কর্মীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ রাতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এবিষয়ে টুইটও করেছেন শুভেন্দু৷ লিখেছেন, ‘‘পুলিশের ভূমিকা স্বচ্ছ নয়৷ অভিযুক্ত নেতাদের আড়াল করতে রিপোর্ট এবং আসামীকে বদল করেছে পুলিশ!’’
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক৷ হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, তৃণমূল বিধায়ক তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী বর্তমানে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার৷ এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁর অর্ধাঙ্গিনী তৃণমূলের বিধায়ক, তাঁর কাছ থেকে কিভাবে প্রকৃত বিচার মিলবে!’’
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে সোমবার জয়নাল মল্লিক ও শেখ সাহিদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ যদিও শুভেন্দুর দাবি, ‘‘প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করতে অন্য ব্যক্তিকে অপরাধী সাজানো হচ্ছে৷’’ আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের বাগনান থানা এলাকার রাইনান গ্রামে শনিবার রাতে বিজেপি কর্মীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীকে গণ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবদ্দিন মল্লিক, যুব সভাপতি দেবাশিস রানা সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে৷
ওই ঘটনায় হাওড়ার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছিলেন, ‘‘রাজনীতির রঙ দেখার প্রশ্নই ওঠে না৷ খুবই নিন্দনীয় কাজ৷ পুলিশকে বলা হয়েছে, অপরাধীদের গ্রেফতার করতে৷’’ কিন্তু শুভেন্দুর অভিযোগ সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শাসকদল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ যদিও পুলিশ বা শাসকদলের স্থানীয় কোনও নেতার এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ শুভেন্দু জানিয়েছেন, ‘‘নির্যাতিতার চিকিৎসাতেও বিস্তর গাফিলতি করা হচ্ছে৷ তাই আজ তাঁকে উলুবেড়িয়ার সরকারি হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে নির্যাতিতার স্বামীর মাধ্যমে৷’’