কেশপুর: তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলা থেকে শুরু করে মুহুর্মুহু আক্রমণ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি নেতা হবার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাপারটা রপ্ত করে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার কেশপুরের জনসভা থেকে তৃণমূল বিরোধী গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনতার উদ্দেশ্যে ‘টিপস’ দিলেন তিনি। কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে, তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস ভীতু পার্টি! চোখ দেখালে আঙ্গুল দেখাতে হবে।
এদিন কেশপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী সেখানে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাইকে শক্ত হতে হবে কারণ তৃণমূল কংগ্রেস একটা ভীতু পার্টি। ওদেরকে যেন কেউ ভয় না পায়। ওরা যদি চোখ দেখায় তাহলে আঙ্গুল দেখাতে হবে। শুভেন্দুর বার্তা, শুধুমাত্র ঝান্ডার ডান্ডাটা মোটা রাখতে হবে, তাহলেই সবাই পালিয়ে যাবে। এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার বিধায়ক এবং ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকেও পরোক্ষে আক্রমণ করেন তিনি। মন্তব্য করেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এখানে কোন বিধায়ককে দেখা যায়নি, সাংসদকেও দেখতে পাননি মানুষ। এই কথার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু মন্তব্য করেন, কাউকেই দেখতে পাওয়া যায় না, তোমার দেখা নাইরে তোমার দেখা নাই! গতকাল চন্দননগরের জনসভা থেকে সেখানকার বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে পরোক্ষে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন তিনি নাকি সঙ্গীত মেলার নামে কাটমানি খান গায়ক এবং তাদের কাছ থেকে। আজ দেবকে পরোক্ষে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।
একইসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে কেশপুরে ভারতী ঘোষ জিততো, কিন্তু এখানে তৃণমূল ভোট লুট করে তাকে জিততে দেয়নি। ষোলটা ইভিএম মেশিন গুনতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস বলে এ দিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা আরও বলেন, যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন সাধারণ মানুষ তা আজ পূরণ হয়নি। দলবদল পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার বলতে শোনা গেছে, যারা গেছে তারা গিয়ে দলের ভালো হয়েছে, চিন্তার কোন কারণ নেই। পচা জিনিস বেরিয়ে গিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে এদিন কেশপুরের জনসভা থেকে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু জিজ্ঞেস করেন, যদি পচা জিনিস বেরিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে পায়ে এত কাঁটা ফুটছে কেন?