চুঁচুড়া: ‘ভাইপো’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেক আগেই ‘ম্যাডাম নারেলার’ প্রসঙ্গ টেনে ছিলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভামঞ্চে প্রমাণ দেখিয়ে তুলনা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার শাসক দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছতেই ফের একবার লাল ডাইরি প্রসঙ্গ টেনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তুললেন স্লোগানও, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, ভাইপো যাবে শ্রীঘরে!’
এদিন চুঁচুড়ায় বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এতদিন ধরে অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলছে। বলা হচ্ছে সিবিআই কাঁচকলা করবে, ইডি কি করবে। তাহলে গতকাল কি হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্তব্য করেন, রাজ্য সরকার বলছে দুয়ারে সরকার, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দুয়ারে সিবিআই! এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারির সুরে মন্তব্য করেন, আগে রশিদ দেখিয়ে তিনি থাইল্যান্ডের টাকার কথা বলেছিলেন, এখন লাল ডাইরি নিয়ে মাঠে নামবেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস যেন সাবধান থাকে। এর আগে এক জনসভা থেকে থাইল্যান্ডের টাকা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেছিলেন, প্রতি মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে থাইল্যান্ডের এক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে আর কে পাঠিয়েছে সেই ব্যাপারে এবারে তদন্ত শুরু হবে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই এবং একইসঙ্গে এই তাদের নজরে তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকা।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা পাচারের টাকা বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে গিয়েছে৷ কয়লাকাণ্ডের তদন্তে নেমে রুজিরার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ এছাড়াও তদন্তে নেমে বিনয় মিশ্রের দিকে আঙুল তুলেছে সিবিআই৷ বিনয়, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান সিবিআইয়ের৷ কয়লাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গেও বিনয় মিশ্রের যোগাযোগে পেয়েছে সিবিআই৷ ফাইল ছবি