নন্দীগ্রাম: পুরো প্রশাসকের পথ থেকে ইতিমধ্যে অপসারিত হয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার পরেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল যে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। খড়দহ থেকে জনসভা করে শুভেন্দু অধিকারীও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছিলেন, নিজের ঘরেও পদ্ম ফোটাবেন তিনি। এবার সেটাই সত্যি হওয়ার পথে। এদিন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় সভা করে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, কাঁথির জনসভাতেই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করবেন। একই সঙ্গে আরও ৫,০০০ তৃণমূল কর্মী যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে।
এদিন কাঁথির ডরমেটরি মাঠে জনসভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেই জনসভাতেই তৃণমূলকে ঝেঁটিয়ে আরো কিছুটা পরিষ্কার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাই সৌমেন্দু সহ আরো ৫,০০০ জন বিজেপিতে যোগ দেবেন আজ। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু স্পষ্ট করেন, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে দক্ষিণ কাঁথিতে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক ছিল মাত্র ১৯,০০০ ভোটের। আজ যে পরিমাণ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন তারপরে ইতিমধ্যেই সেই বিধানসভা এলাকায় হাতছাড়া হয়ে যাবে তৃণমূলের। অর্থাৎ আজ আরও একটু তৃণমূলকে ঝেঁটিয়ে পরিষ্কার করা যাবে। শুভেন্দুর কথায়, আজকের এত বড় যোগদানের পর আগামী বিধানসভা নির্বাচন একটা বিধানসভা হেরেই শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, আজ কাঁথির শুভেন্দু অধিকারীর সভায় সৌমেন্দু অধিকারী ছাড়াও যোগ দেবেন আরো বেশকিছু বিদায়ী কাউন্সিলর।
এদিন নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ৮ তারিখ শক্তি দেখাবো নন্দীগ্রামে। তাঁর কথায়, তৃণমূলের পায়ের মাটি সরে গিয়েছে তাই জন্য ভয় পেয়ে বারবার বিজেপির ওপর আক্রমণ করেছে তারা। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী নিয়েছিলে হামলা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এই অভিযোগ তোলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই প্রসঙ্গে এদিন জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী সকলকে কার্যত আশ্বস্ত করে বলেন, ৮ তারিখের জনসভায় আসার সময় কাউকে যদি কোথাও আটকানো হয় তাহলে যেন তাঁকে সরাসরি ডাকা হয়, তিনি সামনে থেকে লড়াই করেন, সেদিনও সামনে থেকেই লড়াই করবেন। একইসঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে তাঁর দাবি, ১ লক্ষ লোক দিতে হবে সেদিন। একই সঙ্গে এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আজ কমপক্ষে ৫,০০০ তৃণমূল কর্মী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করবেন।