কলকাতা: একের পর এক তাঁর বেফাঁস মন্তব্যে বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে দল৷ ছেলে শুভ্রাংশু রায় নিজে বলেছেন, বাবার মানসিক অবস্থা ভালো নেই৷ মায়ের মৃত্যু আর কোভিডের পর থেকেই বাবার পটাশিয়াম-সোডিয়াম লেভেল ওঠানামা করছে। কোথাও কী করছে, কী বলছে, নিজেও বুঝতে পারছে না। ১০০ থেকে ৭ বাদ দিলে কত হয়, তা বলতেই নাকি ভাবতে হচ্ছে মুকুল রায়কে৷ এমতাবস্থায় মুকুলকে সরাসরি ‘পাগল’ বলে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ খোঁচা দিয়ে বলেন, যাঁর মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই, তাঁর হাতে কী ভাবে পিএসি চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ রাখা হয়েছে?
আরও পডুন- অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু রয়্যাল বেঙ্গল, ‘বাঘবন্দি’তে স্বস্তিতে কুলতলি
এদিকে, সোমবার বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতে রাজ্যের লোকায়ুক্ত ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নাম মনোনয়ন করা হয়েছে৷ অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে৷ এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, উনি হয়তো রাজ্যপালের সঙ্গেই শুধু দেখা করবেন৷ এর পরেই পাল্টা আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী৷ মুকুলকে বিঁধে তিনি বসেন, ‘‘শাসক দলের সদস্যকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান হতে আমিও কখনও দেখিনি। যিনি আবার মানসিক ভারসাম্যহীন! চলতি কথায় যাকে পাগল বলা হয়। সেই পাগলের হাতেই রাজ্যের হিসাব পরীক্ষার দায়িত্ব। এটাও তো আমি কোনওদিন দেখিনি। এই অধ্যক্ষের আমলে যা হচ্ছে..।”
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে শান্তিনিকেতনে সাংবাদিকদের মুখোমুখোমুখি হয়ে মুকুল বলেন, ‘‘এই পুরসভা ভোটে সারা পশ্চিমবাংলায় বিপুল ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।’’ এখানেই শেষ নয়। কেউ যখন পাশ থেকে তাঁকে ‘তৃণমূল’ বলতে বলেন, তখন তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল! এই মন্তব্য শোনার পর সকলেই চমকে যান। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেই সময় তাঁর পাশেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন এই নিয়ে ব্যপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।