কলকাতা: যেদিন বিধানসভায় ‘প্যাক’ চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুল রায়ের নাম ঘোষিত হয় সেদিনই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন গণ ইস্তফার। আজ সেই মতোই কাজ হয়েছে। বিধানসভার আটটি কমিটি থেকে ইস্তফা দেন বিজেপি’র ৮ বিধায়ক৷ প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদেই এই ইস্তফা৷ এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ যেমন করেন শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক তেমনই ‘প্যাক’ চেয়ারম্যান ইস্যুকে তৃণমূলের ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলেও কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি গোটা দেশকে এই ব্যাপারে জানাবেন।
শুভেন্দু বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলার গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, সংবিধানের রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিরোধী দলনেতা এবং অধ্যক্ষদের এই ইস্যুতে অবগত করেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জানান, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এবং গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি যে অভিযোগ পত্র তৈরি করেছেন তা রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন। শুভেন্দু দাবি করেছেন যে, লোকসভায় ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী হতেন এই পিএসির চেয়ারম্যান। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার সেই সংবিধান ভেঙেছে। যারা খরচ করবেন তারাই কিভাবে হিসাব রাখবেন, এই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং এই প্রেক্ষিতেই বলেন যে যা হয়েছে সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান এবং একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি এবং সেই দলকে ভোট দেওয়া ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্যের শাসক দল।
আরও পড়ুন- দার্জিলিং কেউ ভাগ করতে পারবে না! ‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যুতে গর্জে উঠলেন বিমান
এদিকে সরাসরি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে শুভেন্দু দাবি করেন, মুকুল রায় নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের। এদিকে বিধানসভায় ৬ জন বিজেপি সদস্যের মধ্যে তার নাম ছিল না। কিন্তু অধ্যক্ষ যে রেজিলিউশন দেন তাতে বলেন যে বিজেপির সদস্য মুকুল রায়কে বেছে নেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর দাবি বিজেপির দেওয়া তালিকা থেকে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত ছিল কিন্তু তা হয়নি। সেই কারণেই আটটি স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছে বিজেপি বিধায়করা।