কলকাতা: শনিবারের ভোটের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা ঝুলিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, লাগাতার হিংসা এবং অশান্তির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে, তবে কমিশনকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। পরপর মৃত্যুর ঘটনাতেও কমিশনকে দায়ী করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব সিনহার উদ্যোগে ৪১ জনের প্রাণ গিয়েছে। গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বাংলায়।
পঞ্চায়েত ভোটের মতো আজ পুনর্নির্বাচনেও একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে বলে খবর মিলেছে ইতিমধ্যেই। তাই আগামীকাল গণনার দিন ভোট কর্মীদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেছেন, ভোটে লুট ছাড়া কিছুই হয়নি, অধিকাংশ জায়গায় ভোট করতেই দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের ভয় দেখানো, ছাপ্পা ভোট, সব হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি নেতার অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ ছিল। যা মানা হয়নি। তাঁর আরও সংযোজন, ছাপ্পা ধরতে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন আছে। আর এত মৃত্যু কেন, তার তদন্তে সিবিআইকে ডাকা হোক, এমনও দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু এও অভিযোগ করেন, রাজ্যের ১৮ হাজার বুথে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেইভাবে কোনও পদক্ষেপই করেনি। এছাড়া তিনি এও জানান, নির্বাচনে ‘হিংসা’ এবং ‘নিয়মভঙ্গে’র তথ্যপ্রমাণ হিসাবে এক হাজারেরও বেশি ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে জমা করতে চলেছেন শুভেন্দু। ভোট বাতিলের দাবিও করেছেন তিনি।