নিয়ম মেনে পদত্যাগ পত্র দেওয়া হয়নি, শুভেন্দুর ইস্তফা খারিজ অধ্যক্ষের

বিধি মেনে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পদত্যাগপত্র দেননি

কলকাতা: বিধানসভা ভবনে গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকায় তাঁর সচিবের হাতের ইস্তফা পত্র দেন তিনি। তাই শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক জন্মেছিল কারণ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বিধি মেনে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পদত্যাগপত্র দেননি, তা নিয়ে তিনি পরবর্তী ক্ষেত্রে একটি অর্ডার দেবেন। কিন্তু ততক্ষণ শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না আবার প্রত্যাখ্যানও করবেন না তিনি। কিন্তু আজ অর্ডার বের করে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শুভেন্দু অধিকারী নিয়ম মেনে পদত্যাগপত্র দেননি, তাই তাঁর ইস্তফা খারিজ করা হল।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একজন বিধায়ক যদি পদত্যাগ করতে চান তাহলে তাকে উদ্যোগের সামনে এসে ইস্তফা দিয়ে বলতে হবে তিনি পদত্যাগ করছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয় নি। তিনি অধ্যক্ষের সামনে আসেননি বরং তাঁর সচিবের হাতে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। তাই এই অবস্থায় পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নিয়ম মেনে পদত্যাগপত্র জমা দেননি শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তাঁকে বিধায়ক পদে পদত্যাগের কথা জানানোও হয়নি বলে জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হল না এদিন। 

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরো উল্লেখ করেন, শুভেন্দু অধিকারী যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তাতে কোনো তারিখের উল্লেখ নেই, একইসঙ্গে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে পদত্যাগপত্র দেননি। একইসঙ্গে হাতে লেখা চিঠি এবং ইমেইল মারফত পাঠানো ইস্তফাপত্রের মধ্যে সংশয় রয়েছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ তিনি জানাচ্ছেন, শুভেন্দু অধিকারীর হাতে লিখে যে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন তাতে তারিখের উল্লেখ নেই, এদিকে ইমেইল মারফত পাঠানো ইস্তফাপত্র তারিখ রয়েছে। তাই কোনটি আসল এবং কোনটি নকল সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র নিয়ে বিতর্ক এখনো বহাল রইল। আজ স্থাপত্য খারিজ হয়ে যাবার পর শুভেন্দু অধিকারী কি ব্যবস্থা নেবেন তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *