কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ঘাসফুল শিবির শুভেন্দুকে ব্যাপক কটাক্ষ এবং আক্রমণ করেছিল। যে ধারা এখনো অব্যাহত এবং আগামী দিনেও থাকবে তা বলাই বাহুল্য। ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আওয়াজ তুলেছিল, “চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা!” এই স্লোগান রাজ্যের একাধিক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছিল। আজ দেবীপক্ষে এই স্লোগানের পাল্টা স্লোগান দিতে শোনা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। একসঙ্গে নিশানায় নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
দেবীপক্ষের সূচনায় এক জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমার নামে ক্যাসেট বেরিয়েছে। নোংরা নোংরা কথা। সুন্দর করে গান বানিয়েছে। চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। আর আমাদের লোকেরা যদি বলে, চোর চোর চোরটা, অভিষেকের পিসিটা? আমরা এই রকম করি না, নোংরা কাজ করি না।” এর পরেই কয়লা কাণ্ড থেকে শুরু করে আইকোর মামলা প্রসঙ্গে একে একে সকল তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করতে থাকেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, খেলা হচ্ছে কারণ কয়লা চোরেরা দিল্লিতে গিয়ে জেরার সম্মুখিন হচ্ছে। খেলা হচ্ছে কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইয়ের হাত ধরে কাঁদছে! যদিও এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কারণ মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দুর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় বিহার থেকে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসেছেন এবং তাঁকে এখানের ভোটার করানো হয়েছে। বাঁশদ্রোণী থেকে ভুয়ো ভোটার এনে তার ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। বহিরাগতদের এনে রিগিং করে ভোট করানো হয়েছে, তাই শপথ গ্রহণের সমস্যা হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের সমস্যা হলেও আগামীকাল দুপুরে বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ বাকি দুই জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।