খেজুরি: বঙ্গ বিজেপির হোক কিংবা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, প্রত্যেকেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করার সময় ‘ভাইপো’ শব্দের ব্যবহার করেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রতিটি সভায় বলে থাকেন যে তার নাম নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেন না তাই ‘ভাইপো’ শব্দের ব্যবহার করা হয়। এদিন অবশ্য কোনো রকম রাখঢাক রাখলেন না বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। খেজুরিতে জনসভা করে তিনি স্পষ্ট স্লোগান তুললেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হটাও’। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বললেন, তিনি ‘মিথ্যাশ্রী’ পুরস্কার পাবেন।
এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, এখন তাদের একটাই লক্ষ্য, তোলাবাজ ভাইপোকে সরাতে হবে। এই প্রসঙ্গে সরাসরি নাম নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তোলেন, “তোলাবাজ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হটাও”। পাশাপাশি এও মন্তব্য করেন, তোলাশ্রী পুরস্কার পাবে ভাইপো, এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাবেন মিথ্যাশ্রী পুরস্কার। শুভেন্দুর অভিযোগ, খালি মিথ্যে কথা বলেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সভা হওয়ার আগে হামলার ঘটনা ঘটে বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের ওপর। এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন জনসভায় দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে সাতদিন সময় দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া নেওয়া হলে তিনি তমলুকে ধর্নায় বসবেন। শুভেন্দু এও জানান, আজ তাঁর মানসিক অবস্থা ভালো নয় কারণ এই সভায় আসার পথেই দলের নেতা, কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্তব্য করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর নিয়ে বই লিখেছেন, কিন্তু তিনি সিঙ্গুরকে অসম্মান করতে চান না। কারণ সিঙ্গুরে শুকনো ঘাসফুলকে সরিয়ে ইতিমধ্যেই পদ্ম ফুটিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু কার্যত চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মাননীয়াকে এক জায়গার প্রার্থী হতে হবে, দু জায়গার হলে চলবে না। নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে।